• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২১, ০১:২৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৫, ২০২১, ০১:২৯ পিএম

মধ্যরাত থেকে ইলিশ শিকার শুরু

মধ্যরাত থেকে ইলিশ শিকার শুরু
ফাইল ফটো

ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ।

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর মধ্যরাত থেকে ইলিশ শিকারে নামছেন ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার পদ্মা পাড়ের জেলেরা। তাই এ উপলক্ষে ব্যস্ততা বেড়েছে জেলে পরিবারগুলোতে।

এরই মধ্যে নৌকা ও মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে নদীতীরে ভিড়তে শুরু করেছেন জেলেরা। আনন্দ-উচ্ছ্বাসে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। তবে নিষেধাজ্ঞা হতে শেষ হতে চললেও এখনও প্রণোদনা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন বহু জেলে। 

ঢাকা জেলার একমাত্র ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্র দোহারের পদ্মা নদীতে কেউ কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলেও বেশিরভাগই ইলিশ নিধন থেকে বিরত থেকেছেন বলে জানালেন এ জেলার নিবন্ধিত জেলেরা।

এই সময়টায় জাল ও নৌকা মেরামত করেই কাটিয়েছেন তারা। তবে রোজগার না থাকায় দিনগুলো কেটেছে অর্থকষ্টে। বহু জেলে পায়নি সরকারি প্রণোদনার চাল। তাই  সংসার চালাতে ধার-দেনাও করেছেন অনেকে। 

জেলেরা জানান, কেউ কেউ চাল পেলেও ২০ কেজির স্থলে পেয়েছেন ১৫ কেজি চাল। চাল কম দেয়া অসন্তুষ্ট জেলেরা।

তারা বলছেন, ইলিশ নিষেধাজ্ঞা শুরুর সাথে অথবা আগেই প্রণোদনার চাল দেয়া হলে ভালো হতো। কিন্তু চাল দেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার ২ দিন আগে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা জেলের সংখ্যা কম। তাই রক্ষা পেয়েছে মা ইলিশ। তিনি আশা করছেন, একারণে বাড়বে ইলিশ উৎপাদন। এ বছর ইলিশের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। 

জেলেরা আশা করছেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে আশানুরূপ ইলিশ পেলে তাদের অর্থকষ্ট ঘুচবে, ঋণ শোধ করে সংসারে ফিরবে স্বচ্ছলতা। 

পদ্মা নদীতে ইলিশ রক্ষায়  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি জানালেন, এ দোহারে ২২ দিনে নিষেধাজ্ঞার শেষ দিন পর্যন্ত ৮১টি অভিযান পরিচালনা করে ৪৭টি মামলায় ৪৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ৩৫৬ লাখ মিটার কারেন্ট জাল ধ্বংস করা হয়েছে।

জাগরণ/এমএ