• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২১, ১২:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৪, ২০২১, ১২:২৬ পিএম

তাজরীন ট্র্যাজেডির ৯ বছর

তাজরীন ট্র্যাজেডির ৯ বছর
স্বজনদের শ্রদ্ধাঞ্জলি ● সংগৃহীত

বুধবার (২৪ নভেম্বর) তাজরীন ফ্যাশনসের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার নয় বছর পূর্তি।

২০১২ সালের এই দিনে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১১ জন পোশাকশ্রমিক পুড়ে মারা যান।

জীবন বাঁচাতে ভবনটি থেকে লাফিয়ে পড়েও মারা যায় অনেকে। আগুনের লেলিহান শিখার মাঝে শত শত শ্রমিকের বাঁচার আকুতি আর কান্না, নাড়া দিয়েছিলো সারা বিশ্বকে। এ ঘটনায় শতাধিক শ্রমিক আহত হন। অনেকেই এখনও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি।

তাজরীনের অগ্নিদুর্ঘটনার পরের বছর সিআইডি অভিযোগপত্র দেয়।

আসামিরা হলেন—তাজরীনের এমডি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম সহ ১৩ জন।

বর্তমানে আসামিরা সবাই জামিনে আছেন। মামলার সাক্ষী ১০৪ জন। তাজরীনের ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির এমডিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। তবে সাক্ষী হাজির না করতে পেরে বারবার সময় নেয় রাষ্ট্রপক্ষ।

সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা বলেন, তৈরি পোশাকশিল্পে নব্বইয়ের দশক থেকে মালিকদের গাফিলতিতে অগ্নিকাণ্ড ও ভবনের ধসের ঘটনায় অনেক শ্রমিক মারা গেছেন। তবে একটি ঘটনারও বিচার হয়নি। তবে ন্যায্য দাবিতে শ্রমিকেরা আন্দোলন করলেই কালো তালিকাভুক্ত, চাকরিচ্যুত, মামলা, হামলার মতো ঘটনা ঘটে। মালিকপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ার কারণেই তাজরীন ফ্যাশনসের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার বিচার হয়নি।

বিজিএমইএ-সহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থার সহযোগীতায় চাকরি বা ক্ষুদ্র ব্যবসা দিয়ে তাজরীন ফ্যাশনসে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই নতুন করে জীবন শুরু করেছেন। তবে, অসহায় দরিদ্র শ্রমিকদের অনেককেই, চিকিৎসা ও সংসার খরচ মেটাতে বিক্রি করতে হয়েছে ভিটে-মাটি।

আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আর্থিক সহযোগীতার পাশাপাশি চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবী জানান শ্রমিক নেতারা। এছাড়া সব ধরনের সহযোগিতার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

জাগরণ/এসএসকে