• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২১, ১২:৫০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২৮, ২০২১, ০৬:৫০ এএম

ভরা মৌসুমেও অস্থির চালের বাজার

ভরা মৌসুমেও অস্থির চালের বাজার
ফাইল ফটো

ভরা মৌসুমেও দেশের বিভিন্ন জেলায় খুচরা বাজারে বেড়েছে চালের দাম। প্রকারভেদে প্রতিকেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত। এ নিয়ে গত প্রায় চার মাসের ব্যবধানে চালের দাম কয়েক দফায় বেড়েছে।

হঠাৎ চালের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এজন্য মিল মালিকদের সিন্ডিকেট ও বাজারে নজরদারির অভাবকে দুষছেন ভুক্তভোগীরা।

যশোরে প্রকারভেদে প্রতিকেজিতে চালের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৮ টাকা। সপ্তাহের ব্যাবধানে বাসমতি ৬২ থেকে বেড়ে ৭০ টাকা, ৫৪ টাকার মিনিকেট ৬০, কাজললতা ৫ টাকা বেড়ে ৫৯ টাকা, বিআর টেন ৬ টাকা বেড়ে ৫৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে মোটা চালের দামও।

বাজারে ধানের দাম বেশি; তার ওপর মিলারদের কারসাজিতে এই সংকট তৈরি হয়েছে বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

চাল ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ও আড়তমালিকেরা বলছেন, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের কারণে মাঠে অনেকের ধান ভিজে গেছে। এতে কিছু ধান নষ্ট হয়েছে। কিছু জায়গায় পানির কারণে ধান কাটা পিছিয়ে গেছে। মূলত এ দুটি কারণেই স্থানীয় মিলমালিকেরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

বিভিন্ন জেলা ছাড়াও রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও বাবুবাজার-বাদামতলীর আড়তগুলো ঘুরে দেখা যায়, পাইকারিতেই মোটা চালের কেজি ৪২ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৪৭ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৬ টাকায়। তবে দামের দিক থেকে বেশি বেড়েছে মিনিকেটের। ৫৬ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মিনিকেটের দাম কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে এখন ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। এজন্য সরকারি নজরদারির অভাবকে দুষছেন তারা। এক সপ্তাহে পাবনার বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে ১ থেকে ২ টাকা পর্যন্ত। মিল থেকেই বেশিদামে কেনার কথা জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

রংপুরে প্রতিকেজি বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের কথা বললেও, মিল মালিকরা অজুহাত দিচ্ছেন ধানের দাম বৃদ্ধির।

দিনাজপুরে বিরি ২৯- ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, বিড়ি ২৮- ৫০ থেকে ৫২ টাকা, মিনিকেট ৫৮ থেকে ৬০ আর নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, এক মাসের ব্যবধানে সরু চালের (নাজিরশাইল ও মিনিকেট) দাম দেড় শতাংশের বেশি বেড়েছে। মাঝারি চালের (বিআর-২৮ ও পাইজাম) দাম বেড়েছে প্রায় ৩ শতাংশ। ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়েছে মোটা চালের দাম।

জাগরণ/এমএ