• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২, ২০২২, ০৬:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২, ২০২২, ০৬:৫৩ পিএম

সয়াবিনের তেলের দুর্ভিক্ষ, সর্বত্র হাহাকার

সয়াবিনের তেলের দুর্ভিক্ষ, সর্বত্র হাহাকার
ফাইল ফটো

রাত পোহালে ঈদ। অথচ রাজধানীর বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না সয়াবিন তেল। হাতে গোনা দুয়েকটি দোকানে তেল থাকলেও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। আবার কোনও কোনও দোকানি শুধু তেল বিক্রিই করছে না। সঙ্গে নিতে হবে অন্য পণ্য। এযেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘাঁ।

ঈদে চাহিদা বাড়ায় আরেক দফা বেড়েছে মসলা, পোলাও চাল ও তরল দুধের দাম। এ পরিস্থিতিতে নিজেদের অসহায় ও নির্যাতিত মনে করছেন ক্রেতারা।

ঈদে রাজধানী ছেড়েছে অন্তত কোটি মানুষ। যার প্রভাবে বাজারে তেমন ক্রেতা নেই। কিন্তু বিক্রেতারা বলছেন, ঈদ উপলক্ষে বেশকিছু পণ্যের চাহিদা বেড়েছে, যার কারণে তৈরি হয়েছে কৃত্রিম সংকট।

রাজধানীর বাজারে সবচেয়ে বেশি সংকট সয়াবিন তেলের। হাতিরপুল, পলাশীসহ বেশিরভাগ খুচরা বাজারে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না।

গৃহিনী আলেয়া খাতুন রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সয়াবিন তেলের খোঁজ করছিলেন। কিন্তু বাজারের বড় বড় মুদিদোকানের একটিতেও সয়াবিন তেলের দেখা মেলেনি। এ পরিস্থিতিতে ঈদের দিন কী করবেন সেটা নিয়ে চিন্তিত তিনি।

চাহিদার তুলনায় তরল দুধের সরবরাহও কম। চাহিদা অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছে না দুধ। ঈদের দিন সকালে সবার আগে প্রয়োজনীয় একটি পণ্য হলো দুধ। ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, গতবছরের তুলনায় এবার সেমাইয়ের দাম কেজিতে বেড়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পোলাও চাল ১৫ টাকা, মসলা ৫ থেকে ১০ টাকা।

ক্রেতাদের অভিযোগ, পণ্যের চড়া দামে নাকাল অবস্থা মানুষের। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে সাড়ে সাতশ টাকায়। মুরগির দামও কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে।

এতে করে অভূতপূর্ব পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে রাজধানীর ক্রেতাদের। আগামীকাল ঈদ, অথচ ঈদের রসনার অন্যতম প্রধান উপকরণ বোতলজাত সয়াবিন তেল এবং তরল দুধ বাজার থেকে যেন ভোজবাজির মতো উধাও হয়ে গেছে।

জাগরণ/অর্থনীতি/কেএপি