• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২২, ০১:০৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৮, ২০২২, ০১:০৩ এএম

বাজেটে আসছে রেকর্ড ৮৩ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি

বাজেটে আসছে রেকর্ড ৮৩ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি
ফাইল ফটো

আগামী অর্থবছরের বাজেটে আসছে রেকর্ড পরিমাণ ভর্তুকি।

প্রণোদনা ও ভর্তুকিতে বরাদ্দ থাকছে প্রায় ৮৩ হাজার কোটি টাকা। এর বেশিরভাগই যাবে কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে। সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। রফতানিতে প্রণোদনার পাশাপাশি প্রবাসী আয় দেশে আনতে দেয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলছেন, জনসম্পৃক্ত এসব খাতে বড় অঙ্কের ভর্তুকির প্রয়োজন আছে। বছর ঘুরলেই ভর্তুকি ও প্রণোদনার পরিমান বাড়বে, এটাই বাজেটের সাধারণ চিত্র।

গত পাঁচ বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ভর্তুকি ও প্রণোদনা বৃদ্ধিতে এবার ছাড়িয়ে যাচ্ছে অতীতের সব রেকর্ড।

২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাবদ বরাদ্দ থাকছে ৮২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থ বছরের চেয়ে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরে তো বেড়েছেই, আগামী অর্থবছরেও ভর্তুকি বাড়বে। আর বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে এলএনজি আমদানিতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় ভর্তুকি বেড়ে বরাদ্দ হতে পারে ৩৫ হাজার কোটি টাকা।

আগামী অর্থবছরে খাদ্যে ভর্তুকি রাখা হচ্ছে ৬ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রিসহ খোলাবাজারে চাল বিক্রির কারণেই এ ভর্তুকি রাখা হবে। রফতানি খাতের প্রণোদনা, প্রবাসী আয় দেশে আনতে প্রণোদনা প্রদানে বরাবরের মতো ভর্তুকি দেবে সরকার।

প্রতিবারের বাজেটের সাধারণ চিত্র এটি। বৃদ্ধির পরিমাণ কখনও দুই হাজার, কখনওবা তিন হাজার কোটি টাকা হয়। গত পাঁচ বছরের বাজেট পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে একবার পৌনে ১০ হাজার কোটি টাকাও বেড়েছিল। কিন্তু ভর্তুকি ও প্রণোদনা বৃদ্ধিতে এবার ছাড়িয়ে যাচ্ছে অতীতের সব রেকর্ড।

তবে প্রান্তিক মানুষ যাতে ভর্তুকির সুফল পায়, সেজন্য এর ব্যবস্থাপনায় সংস্কার আনা জরুরি বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

জাগরণ/অর্থনীতি/জাতীয়বাজেট২০২২/এসএসকে