বাজার ভর্তি ইলিশ। কিন্তু দাম অনেক বেশি। আড়ৎ থেকে খুচরা বাজার কিংবা টুকরিতে করে পাড়া-মহল্লায় যে মাছ বিক্রি হচ্ছে তাতে দামের পার্থক্য দেড় থেকে দুইশ’ টাকা।
ভরা মৌসুমেও ইলিশের চড়া দাম নিয়ে অসন্তুষ্ট ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, মাছের সরবরাহ ভালো থাকলেও ঘাট থেকেই বেশি দামে ইলিশ কিনতে হচ্ছে তাদের।
মাছের রাজা ইলিশ। জাতীয় মাছ ইলিশ। সেই ইলিশেই এখন ছেয়ে আছে বাজার। তাই ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম দেশের ইলিশ বাজার। বিক্রিতে রীতিমতো ধুম।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার মাছের আড়তে গিয়ে দেখা গেল, বেশিরভাগ খুচরা মাছ ব্যবসায়ী ছুটছেন ইলিশ কিনতে।
আড়ত থেকে ডাকে মাছ কিনতে হয়। ছোট-মাঝারি-বড়। আকারভেদে ইলিশ মাছের দাম ভিন্ন।
আড়তদাররা জানান, সেখানে পৌনে এক কেজির ইলিশ গড়ে সাড়ে ৬০০/৭৫০, এক কেজির ইলিশ ৯৫০/১০০০ আর বড় ইলিশ ১২০০/১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এক হাত ঘুরেই সেই মাছ যাচ্ছে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে। মুহূর্তের মধ্যে একই ইলিশের দাম বেড়ে যাচ্ছে দেড়শ থেকে দুইশ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গেলো বছরের চেয়ে এবার মাছের সরবরাহ কম, কিন্তু দাম বেশি। আর এই সময়ে ইলিশের চাহিদাও থাকে বেশি।
এবার ইলিশের দাম বৃদ্ধির জন্য অনেকে দায়ী করেছেন ভারতে ইলিশ রফতানির সরকারি সিদ্ধান্তকে। তাদের মতে, ভারতে রফতানির কারণে দেশের বাজারে চড়া ইলিশের দাম।
ভারতে মাত্র আড়াই হাজার টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। যা মোট ইলিশের উৎপাদনের তুলনায় খুবই নগণ্য।
ভরা মৌসুমে যারা ইলিশের স্বাদ নিতে চান, সেই ক্রেতাদের বাজারে গিয়ে তারা হতাশ হচ্ছে। কারণ বাজার ভর্তি ইলিশ, দাম এতো বেশি হওয়ার কথা নয়।
নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে আগামী ৭-২৮ অক্টোবর, ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ ধরা বন্ধ। তাই, নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের আগ পর্যন্ত ইলিশের ধুম বেচাকেনা হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
জাগরণ/অর্থনীতি/এসএসকে