• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২, ১২:৪৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২, ১২:৪৩ এএম

২ মাসে চাল এসেছে এক লাখ টনেরও কম

২ মাসে চাল এসেছে এক লাখ টনেরও কম
ফাইল ফটো

বাজারে অস্থিরতা সত্ত্বেও গতি আসছে না চাল আমদানিতে। গত দুই মাসে ১৯ লাখ টন আমদানির সরকারি অনুমতি থাকলেও, এসেছে এক লাখ টনেরও কম চাল।

ভিয়েতনাম ও চীন চাল দিতে রাজি না হওয়ায় ভরসা এখন ভারত ও মিয়ানমার। তবে বিশ্ব বাজারে চালের চড়া দাম আর দেশে ডলারের দাম বাড়ায় আমদানিতে আগ্রহ কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

চালের বাজার অস্থিতিশীল গেল চার মাস ধরে। ক্রমাগত বেড়ে এখন ৫২ টাকার কমে চালের কেজি মিলছে না বাজারে। তবে খাবার মতো সরু চালের কেজিও ৭০ এর বেশি।

টিসিবির হিসাবও বলছে, গত সাত দিনে সরু চালের দাম বেড়েছে চার শতাংশের বেশি।

কেন এভাবে চালের দাম বাড়লো তার যুক্তিও নেহাত খোড়া।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, দেশে চাল লাগে বছরে ৩ কোটি ৫ লাখ টনের মতো। আর গেল বার দেশেই উৎপাদন হয় পৌনে চার কোটি টনেরও বেশি। আর আমদানিও হয় ১০ লাখ টনের মতো। তাহলে উদ্বৃত্ত চাল কি গুদামেই আটকা পড়লো? নইলে দাম বাড়ছে কেন?

এতকিছুর পরও চালের সরবরাহ বাড়াতে সরকার এ বছর দুই দফায় মোট ১৯ লাখ টন চাল আমদানির ব্যবস্থা করে। কিন্তু চাল এসেছে মোটে ৯০ হাজার টন, যার পুরোটাই বেসরকারি। সরকারিভাবে ৯ লাখ টন আনার কথা থাকলেও আসেনি এককেজিও।

বেসরকারি আমদানিকারকদের যুক্তিতো তৈরিই ছিল রীতিমতো।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব বলছে, এখন সরকারি গুদামে চালের মজুদ ১৭ লাখ টনের কাছাকাছি। খোলাবাজারে চাল বিক্রি চলতে থাকলে দাম আরও কমার কথা বলছে সরকার।

জাগরণ/অর্থনীতি/এসএসকে