• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২, ০১:১৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২, ০১:১৪ এএম

ইভ্যালির দায়িত্বে শামীমা

ইভ্যালির দায়িত্বে শামীমা
শামীমা নাসরিন ● ফাইল ফটো

ইভ্যালির নতুন পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব নিলেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনসহ ৫ জন।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ইভ্যালির প্রধান কার্যালয়ে পুরনো পর্ষদের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন তারা।

দায়িত্ব পাওয়া অন্য সদস্যরা হলেন- শামীমা নাসরিনের মা ফরিদা আক্তার, বোনের স্বামী মামুনুর রশীদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী কামরুন নাহার ও ইক্যাব সহসভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন।

গত বছরের অক্টোবরে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে চেয়ারম্যান করে একটি পর্ষদ গঠন করেছিল আদালত। মূলত প্রতিষ্ঠানটির প্রকৃত দায়-দেনা, কাজের ধরন ও শত কোটি টাকার বকেয়া থেকে উদ্ধারের পথ বের করার উপায় আছে কি না, তা দেখাই ছিল এই পর্ষদের উদ্দেশ্য।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) আদালতে এই বোর্ড ইভ্যালি থেকে পদত্যাগের আবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করে।

গ্রাহক ঠকানোর মামলায় ইভ্যালির উদ্যোক্তা রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।

শামীমা গত এপ্রিল মাসে জামিনে বের হলেও এখনো কারাগারে আছেন রাসেল।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশে দেয়া অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চার হাজার ৮৬৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। তবে, এসব লেনদেনের সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই।

আদালতের নির্দেশে গঠিত পাঁচ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রাহকদের টাকা নিয়ে প্রতারণা করার উদ্দেশ্যেই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি গঠন করা হয়েছিল। বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী কোম্পানির সিইও মোহাম্মদ রাসেল। প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান আর্থিক অবস্থায় কোনভাবেই ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। তবে, প্রতিষ্ঠানটি চালু করতে হলে নতুন করে বিনিয়োগ করতে হবে।

ইভ্যালির আইনজীবী আহসানুল করিম জানান, প্রায় চার হাজার ছোট-বড় বিনিয়োগকারী এ প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগে আগ্রহী।

ই-কমার্স খাতের তদারকিতে সমন্বিত নীতিমালা জরুরি বলে মনে করছেন এই আইনজীবী।

জাগরণ/অর্থনীতি/এমএ