• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯, ০৯:০৯ এএম

শেয়ার কারসাজিতে জড়িতদের ৩ কোটি টাকা জরিমানা

শেয়ার কারসাজিতে জড়িতদের ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- ফাইল ছবি

 

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ৮ কোম্পানির শেয়ার দরের অস্বাভাবিক উত্থানের নিপথ্যে কারসাজির প্রমাণ পেয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কারসাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ২৪ ব্যক্তি ও ৪ প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৩ কোটি টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কমিশনের ৬৭৬তম নিয়মিত কমিশন সভায় এই জরিমানার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

জানা যায়, মুন্নু জুট স্টাফলার্স, মুন্নু সিরামিক, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার ও বিডি অটোকারসের শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে অবদান রাখার কারণে ১৬ ব্যক্তি ও ৩ প্রতিষ্ঠানকে মোট ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
 
জরিমানা করা হয়েছে- কমার্স ব্যাংক সিকিউরিটিজের তৎকালীন এভিপি মো. সাইফুল ইসলামকে (বর্তমানে প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজে) ৫০ লাখ টাকা, কাজি মো. শাহাদাত হোসেনকে ৫০ লাখ টাকা, কমার্স ব্যাংকের ভিপি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে ২৫ লাখ টাকা, মো. আব্দুল হালিম ২৫ লাখ টাকা, মোস্তফা হেলাল কবিরকে ১০ লাখ টাকা, ফউজিয়া ইয়াসমিনকে ১০ লাখ টাকা, মো. আলী মনসুরকে ১০ লাখ টাকা, সাইফ উল্লাহকে ১০ লাখ টাকা, আব্দুল কাউয়ুমকে ৫ লাখ টাকা, মরিয়ম নেছাকে ৫ লাখ টাকা, মো. আব্দুস সেলিমকে ৫ লাখ টাকা, মো. জিয়াউল করিমকে ৫ লাখ টাকা, মো. ইডমুন গুডাকে ২ লাখ টাকা, মো. মাহামুদুজ্জামানকে ২ লাখ টাকা, লিপিকা সাহাকে ২ লাখ টাকা ও মুকুল কুমার সাহাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া ৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পদ্মা গ্লাসকে ৫ লাখ টাকা, মেসার্স কাউয়ুম অ্যান্ড সন্সকে ৫ লাখ টাকা ও রহমত মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত আইন ভঙ্গের কারণে ৩ ব্যক্তিকে ৭০ লাখ টাকা জরিমানা, ৫ ব্যক্তি ও ১ প্রতিষ্ঠানকে সতর্কপত্র ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে মোস্তফা হেলাল কবির অ্যান্ড এসোসেয়েটসের মোস্তাফা হেলাল কবির, ফউজিয়া ইয়াসমিন হাফেজা খাতুন, মবিউর রহমান সরকার, মেসার্স অহনা কনস্ট্রাকশন, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭(e)(v) ভঙ্গ করেছে।

পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সচিব মোস্তফা হেলাল কবির, তার স্ত্রী ফউজিয়া ইয়াসমিন নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন মুন্নু সিরামিকের শেয়ারের লেনদেনের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ) বিধিমালা, ১৯৯৫ এর বিধি ৪ এর উপ-বিধি (২) ভঙ্গ করেছে; একই কারণে কাজি মো. শাহাদাত হোসেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭(e)(v) ভঙ্গ করেছে।

এছাড়া পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর ইমাদ উদ্দিন আহমেদ প্রিন্স নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন মুন্নু সিরামিকের শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ) বিধিমালা, ১৯৯৫ এর বিধি ৪ এর উপ-বিধি (২) ভঙ্গ করেছে; কোম্পানিটির সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক তাইজুদ্দিন আহমেদ নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন মুন্নু সিরামিকের শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ) বিধিমালা, ১৯৯৫ এর বিধি ৪ এর উপ-বিধি (২) ভঙ্গ করেছে এবং কোম্পানিটির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার সৈয়দ মো. আকবর নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন মুন্নু সিরামিকের শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ) বিধিমালা, ১৯৯৫ এর বিধি ৪ এর উপ-বিধি (২) ভঙ্গ করেছে।

উল্লেখিত সিকিউরিটজ আইন পরিপালনে ব্যর্থ্তার কারণে কমিশন মোস্তফা হেলাল কবিরকে ১০ লাখ টাকা, তার স্ত্রী ফউজিয়া ইয়াসমিনকে ১০ লাখ টাকা ও কাজী শাহাদাত হোসেনকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এছাড়া হাফেজা খাতুন, মবিউর রহমান সরকার, মেসার্স অহনা কনস্ট্রাকশন, ইমাদ উদ্দিন আহমেদ, তাইজুদ্দিন আহমেদ ও সৈয়দ মো. আকবরকে সতর্কপত্র ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এআই/এএস