• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০১৯, ১০:০৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৮, ২০১৯, ১০:০৪ এএম

শিক্ষক না থাকায় বন্ধ থাকে যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়  

শিক্ষক না থাকায় বন্ধ থাকে যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়  
গুরা মিঞা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সুরম্য স্কুল ভবন,আসবাবপত্র,ছাত্র-ছাত্রী সবই আছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের এমকাত্র শিক্ষক ট্রেনিংয়ে থাকায় ১২ দিন বন্ধ থাকে স্কুলের দরজা। উপজেলা শিক্ষা অফিসের খামখেয়ালিপনা ও উদাসীনতায় শ’খানেক কচিকাঁচা শিশু শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবন বিপন্ন হওয়ার আশংকা স্থানীয় অভিভাবকদের। কক্মবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের দূর্গম পাহাড়ি জনপথ মোছার খোলা হাজি গুরা মিঞা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিকল্প কোন শিক্ষক পদায়ন না করে একমাত্র দায়িত্বরত শিক্ষককে ট্রেনিংয়ে পাঠান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। 

২০১৩-২০১৪ অর্থ সালে সরকারের বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় নতূন ১৫শ বিদ্যালয় স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের অধীন উখিয়ায় চারটি নতূন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।
তম্মধ্যে তিনটি বিদ্যালয়ে ২০১৫ সাল থেকে শিক্ষক পদায়ন পূর্বক প্রেষণে নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হলেও হাজি গুরা মিঞা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি চালু করা হয়নি। 
উপজাতি মারমা ও মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার অভিভাবকদের আকুতিতে অবশেষে চলতি ২০১৯ সাল থেকে ঐ বিদ্যালয়টি চালু করা হয়েছে। নুন্যতম দুই জন শিক্ষক পদায়নের নিয়ম থাকলেও উখিয়া শিক্ষা অফিস তা না মেনে একজন শিক্ষককে প্রেষণে নিয়োগ দিয়ে জানুয়ারি মাস থেকে বিদ্যালয়টি চালু করে। 

একমাত্র নিয়োজিত শিক্ষক আশিস বড়ুয়ার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্থানীয় সচেতন অভিভাবকদের সহযোগিতায় নতুন চালুকৃত স্কুলে প্রাক প্রাথমিক বা শিশু শ্রেণী, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানও শুরু করা হয়েছে। বর্তমানে ঐ বিদ্যালয়ে ৮৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে বলে জানান শিক্ষক নিজেই।    

অভিভাবক ও দাতা সদস্য জয়নাল ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, স্কুল প্রতিষ্ঠার ৬/৭ বছর বন্ধ থাকার পর অনেক চেষ্টার মাধ্যমে এটি চালু করা হলেও মনে হয় শিক্ষা অফিস স্কুলটিতে লেখাপড়া হউক সেটি চায় না। স্কুলের একমাত্র শিক্ষক আশিস বড়ুয়া শিক্ষা অফিসের আদেশে গত ১২ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত কক্সবাজার পিটিআইয়ে আইসিটি প্রশিক্ষণে থাকার কথা স্বীকার করেন।

উখিয়া শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার ধর বিকল্প শিক্ষককের ব্যবস্থা না করে একমাত্র শিক্ষককে ট্রেনিংয়ে পাঠানো ঠিক হয়নি স্বীকার করে বলেন, শিগগিরই স্কুলের শিক্ষক সংকট দূর করার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, সরকারি শিক্ষক বদলি নীতিমালা অনুযায়ী দূর্গম এলাকা হওয়ায় উক্ত স্কুল কেউ যেতে চাচ্ছে না।কারণ বদলি নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষকদের শুধু তাদের পছন্দনীয় বিদ্যালয়ে বদলি করা যাবে। তাদের পছন্দের বাইরের স্কুলে বদলি করলে অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকরা যেতে চায় না বলে শিক্ষা অফিসার জানান।

বিএস