• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০১৯, ০৩:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৩, ২০১৯, ০৩:২০ পিএম

মেডিকেল ভর্তি নীতিমালায় বিপাকে শিক্ষার্থীরা

মেডিকেল ভর্তি নীতিমালায় বিপাকে শিক্ষার্থীরা

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নতুন নীতিমালা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। মন্ত্রণালয়টি তাদের প্রণীত নীতিমালা ২০১১ পাল্টে নীতিমালা ২০১৭-এ ভর্তির ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম করার পর থেকে সাধরণ শিক্ষার্থীরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই নীতিমালার ফলে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে কমপক্ষে জিপিএ দরকার ৯ পয়েন্ট। অন্যদিকে নীতিমালা ২০১১ এর ক্ষেত্রে কমপক্ষে জিপিএ ৮ হলেই পরীক্ষায় অংশ নেয়া যেত।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে বিএমডিসি। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের ১৪ আগস্ট স্থগিত করে। চলতি মাসের ২৫ তারিখ এই আপিলের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

কিন্তু বিএমডিসি তড়িঘড়ি করে ইতিমধ্যে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের জন্য ভর্তির বিজ্ঞাপন দিয়েছে। আর তাতে জিপিএ ৯ এর কম কিন্তু ৮ এর বেশি পেয়েছে বিজ্ঞান বিভাগের এমন শিক্ষার্থীরা বেকাদায় পড়েছেন। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখলে বেকাদায় পড়া শিক্ষার্থীরা কিভাবে পরীক্ষা দেবেন এবং দিতে পারলেও প্রস্তুতির ঘাটতির কথা বলছেন অনেকে।

এছাড়া বাংলাদেশে বিদেশি শিক্ষার্থীদের মেডিকেল কলেজে পড়তে জিপিএ দরকার ৭ বা সমান নম্বর। দেশি ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্র দুই নিয়মকে বৈষম্য হিসেবে দেখছেন অনেকে। অথচ বিদেশি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ থেকে এমবিবিএস পড়ে গিয়ে নিজ দেশে চিকিৎসক নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রথম ধাপেই পাস করছেন।

পার্শ্ববর্তীদেশ ভারত, নেপাল, মালেশিয়া ও ফিলিপাইনে জিপিএ ৬ বা ৫০ শতাংশ নম্বর হলেই মেডিকেল কলেজে পড়ার জন্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। আর পাকিস্তানে দরকার হয় জিপিএ ৮ বা ৭০ শতাংশ নম্বর।

গত বছর ভারতে ১৪ লাখ শিক্ষার্থী এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ পান। তা থেকে ৮ লাখ জনকে নির্বাচিত করা হয়। আর ১ লক্ষ ভর্তির সুযোগ পান।

এছাড়া ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদেরও দরকার হয় জিপিএ ৯। যেটা খুবই দুরূহ ব্যাপার। বিএমডিসি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তে দেশের অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে এমবিবিএস পড়তে চলে যাচ্ছে।

পাশাপাশি আমাদের দেশে বসবাস করে শিক্ষার্থীরা ভালো কোচিং এবং টিচারের কাছে পড়ার সুযোগ পায়। গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রামের তুলনায় শহরের ছেলে-মেয়েরা জিপিএ ৯ এর বেশি পায়। দেশের তৃণমূল পর্যায়ে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর অনেকে ভালো শিক্ষক বা কোচিং করার সুযোগ পান না। প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা জিপিএ ৮ পেলে মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় যেন অংশ নিতে পারে এজন্য ৮ শিক্ষার্থী এ রিট করেন। তাতে অধিকসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবীদের যাচাই-বাচাইয়ের সুযোগ হবে। অন্যথায় জিপিএ ৯ হওয়াতে বিদেশে মেধাবীদের চলে যাওয়ার পাশাপাশি অর্থও চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে জিপিএ ৮ প্রাপ্তরা যেন এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অংশ নিতে পারে এবং এ সুযোগের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

উন্নত স্বাস্থ্য সেবায় বিশ্বের ভারতের সুনাম রয়েছে। তারা যদি ৫০ শতাংশ নম্বর প্রাপ্তদের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়, তাহলে বাংলাদেশ কেন দেবে না, এমন প্রশ্ন অনেক শিক্ষার্থীর।


টিএইচ/টিএফ

আরও পড়ুন