• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৯, ০৩:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৯, ০৩:৪২ পিএম

গাড়িমুক্ত মানিক মিয়া এভিনিউতে শিশুদের আনন্দ 

গাড়িমুক্ত মানিক মিয়া এভিনিউতে শিশুদের আনন্দ 

গাড়িমুক্ত মানিক মিয়া এভিনিউ পেয়ে মুক্ত পরিবেশে আনন্দে মেতে উঠে শিশুরা। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) মানিক মিয়া এভিনিউর সামনের সড়কে আয়োজন করা হয় গাড়িমুক্ত রাস্তা। আর তাতেই কয়েকশ শিশু যোগ দেয় ওই মুক্ত পরিবেশে আনন্দ উল্লাসে। ছোট পরিসরের এমন আয়োজন পেয়ে ইটপাথরের জঞ্জালের এ রাজধানীতে বেড়ে উঠা শিশুরা দারুণ উপভোগ করে। শিশুদের মধ্যে কেউবা আকাশে বেলুন উড়িয়ে, কেউবা ঘুড়ি উড়িয়ে তাদের ক্ষণিকের এ স্বাধীনতা উপভোগ করে। কেউবা গাড়িমুক্ত ওই জায়গার একদিক থেকে আরেক দিকে দৌড়াদৌড়ি করে। আবার কেউবা মুক্ত পরিবেশ পেয়ে বাবা-মার হাত ধরে ছোটাছুটি করে।  

‘ভেঙ্গে যাক বন্ধনের যত খোয়ার, গাড়িমুক্ত রাস্তায় ছুটুক আনন্দের জোয়ার’-এ শ্লোগানে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে ব্যস্ত শহরে শিশুদের সুষ্ঠু মানসিক বিকাশের জন্য ঢাকা ট্রান্সপোট কো-অডিনেশন অর্থারিটির সঙ্গে একত্রিত হয়ে ডিটারজেন্ট ব্রান্ড সার্ফ এক্সেল আয়োজন করে ‘কার ফ্রি স্ট্রিট’। 

মাহির দাইয়ান খান মোহাম্মদপুর মডেল স্কুলের ক্লাস ফোরের ছাত্র। সে এসেছে বাবা ডা. মাহফজুর দাইয়ানের হাত ধরে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের গাড়িমুক্ত পরিবেশ দেখতে। মাহির বাবা জানান, স্কুলে বড় ছুটি পেলে তার সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেখানে প্রকৃতির পাশাপাশি পারিবারিক বন্ধনের ছোয়া পাওয়ার চেষ্টা করে সে।   

এ আয়োজনে অনেক শিশু সড়কেই বিছানা পেতে আপন মনে আকাঝোকা করে। আবার আপন মনে অনেকে দল বেঁধে গানও গায়। কেউ আবার ফুটবল নিয়ে এপার থেকে ওপাড়ে ছুটোছুটি করেছে। কারো হাতে আবার তীর ধনুকও ছিল। চলে ক্যারাম-লুডু খেলা।  

ক্লাস ওয়ানের ছোট্ট শিশুও সাকিব আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের ছাত্র। তার বাবা ঊর্ধ্বতম সামরিক কর্মকর্তা। সাকিব এসেছিল মা ও ভাই-বোনদের সঙ্গে। শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও বেশ উপভোগ করে রাজধানীতে এমন আয়োজন পেয়ে। অনেকে বলছিল, নিয়মিত এমন আয়োজন চাই।  

ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্রান্ড সার্ফ এক্সেলের সঙ্গে সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এমন শিশু বান্ধব আয়োজন এই প্রথম। আয়োজনের ফাঁকেই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে বলা হয়, নগরায়ণের প্রভাবে খেলার মাঠ শূন্য হয়ে পড়ছে রাজধানী। ইট, বালু, পাথরের আড়ালে আটকা পড়ছে শিশুদের রঙিন শৈশব। মুক্ত পরিবেশ না পেয়ে বর্তমানের শিশুদের শৈশব কাটছে বিভিন্ন ক্ষতিকর ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের সঙ্গে। এসবই শিশুর ভবিষ্যৎকে ভয়ংকর বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।  

আলোচনা অংশ নেন- ইউনিলিভার বাংলাদেশের ফ্যাব্রিক সলিউসন্স ক্যাটাগরি হেড জিশান বায়োজিদ রহমান, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউশন অব মেন্টাল হেলথের ডিরেক্টর ড. মোহিত কামাল, সেইভ দ্য চিলড্রেনের ডেপুটি ডিরেক্টর সৈয়দ মাতিন হাসান ও ডিটিসিএ এডিশনাল সেক্রেটারি জাকির হোসেন মজুমদার। 

টিএস/টিএফ
 

আরও পড়ুন