• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯, ০৩:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯, ০৩:৫৮ পিএম

কমিটি গঠন করেও অগ্রগতি হচ্ছে না জকসুর!

কমিটি গঠন করেও অগ্রগতি হচ্ছে না জকসুর!
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় লোগো

সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে গঠনতন্ত্র প্রণয়নের লক্ষ্যে কমিটি গঠন করা হলেও কোনো অগ্রগতি নেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (জকসু)। 

গত ১ জুলাই জকসুর গঠনতন্ত্র প্রণয়নের লক্ষ্যে আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. সরকার আলী আক্কাসকে আহ্বায়ক করে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধনের জন্য সুপারিশ প্রদান ও জকসু গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পূর্ণ হয়েছে কমিটির ৪৫ কার্যদিবস। কিন্তু কাজের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা সংশয় প্রকাশ করছেন।

এ বিষয়ে জবি শাখা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক রাইসুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘আমাদেরকে প্রশাসন সবসময়ই আশা দিয়েছে। এতে আমরা কোনো ফল পাইনি। তবে উপাচার্য বলেছেন জকসু হবে। আমরা উনাকে সম্মান করি। গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির কার্যকাল শেষ হওয়ার পথে। আমরা আশা করি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই জকসুর গঠনতন্ত্র প্রণয়ন হবে। যদি এতে কোনো বিলম্ব হয়, তাহলে আমরা পরবর্তীতে অন্যকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’

ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এম এন জুনায়েদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জকসু গঠনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য যে কমিটি গঠন করেছে আমরা তার ফলাফল দেখার অপেক্ষায় আছি। আমরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কমিটির সময়কাল শেষ হলেই আমরা কার্যক্রম হাতে নিব।’

কমিটির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী আক্কাস বলেন, ‘জকসুর যে গঠনতন্ত্র, সেটা তৈরি করতে হচ্ছে। এটা অনেক বড় একটা ডকুমেন্টস হবে। বর্তমানে এর টাইপিংয়ের কাজ চলছে। এই সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কাজ শেষ হলেই আমরা রিপোর্ট জমা দেবো। আমরা আশাবাদী যে আগামী সপ্তাহের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হবে।’
কমিটির কাজের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জকসুর গঠনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য আমাদেরকে ৪৫ কার্যদিবস সময় দেয়া হয়েছিলো। এর এখনো সপ্তাহ খানেক বাকি আছে। আমরা আশাকরি এর মধ্যেই কাজটি সম্পন্ন হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫৪ সালে প্রথম জগন্নাথ কলেজ ছাত্র সংসদের (জকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ভিপি এ আর ইউসুফ আর জিএস সালাউদ্দিন আহমেদ নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত জগন্নাথ কলেজ ছাত্র সংসদের ১০টি কমিটি হয়। স্বাধীনতার পরে ১৯৭২, ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৮৭ সালে আরও চারটি ছাত্রসংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ১৯৮৭ সালের নির্বাচনে আলমগীর শিকদার লোটন ও জাহাঙ্গীর শিকদার জোটন নামে দুই ভাই ভিপি ও জিএস নির্বাচিত হন।

এরপরে ২০০৫ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ১৮ বছর ধরে কোনো ছাত্রসংসদ নির্বাচন হয়নি। আর জগন্নাথ কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার সময়ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫ এ ছাত্র সংসদের অধ্যাদেশযুক্ত হয়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ছাত্র সংসদ অধ্যাদেশ যুক্ত ও নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।

বিএস 


 

আরও পড়ুন