• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০১৯, ০১:২১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৩, ২০১৯, ০১:২১ পিএম

জাবিতে দ্বিতীয় দিনেও চলছে ‘সর্বাত্মক ধর্মঘট’ 

জাবিতে দ্বিতীয় দিনেও চলছে ‘সর্বাত্মক ধর্মঘট’ 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উন্নয়ন প্রকল্পে  দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও ‘সর্বাত্মক ধর্মঘট’ চলছে। এসময় আন্দোলনকারীরা অবরোধ করে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবন।

বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ধর্মঘট শুরু করেন  ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অবরোধ চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। এছাড়াও ক্লাস পরীক্ষা নেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।

এদিকে, সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. নুরুল আলম ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজসহ রেজিস্ট্রার ভবনের সকল কর্মকর্তারা প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।   

এ সময় উপাচার্যের অপসারণের যৌক্তিকতা তুলে ধরে আচার্য (রাষ্ট্রপতি) বরাবর আজ চিঠি দিবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের মুখপাত্র ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রাইয়ান রাইন।

এ ছাড়াও তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের আন্দোলনের প্রথমে উপাচার্যের পদত্যাগ চাই নাই আমরা শুধু চেয়ে ছিলাম মহা পরিকল্পনাকে পুনরায় সাজানো। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমে সবাই যখন জনেছে তিনি এবং তার পরিবার এই অর্থ নিয়ে দুর্নীতি করেছে তার পরেই আমরা তার পদত্যাগ চেয়েছি কারণ এক জন দুর্নীতিবাজ মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকতে পারে না। আমরা আজই তার অপসারণের যৌক্তিকতা তুলে ধরে আচার্যকে চিঠি দিবো। এবং আমরা মিটিং করে আমাদের পরবর্তি কর্মসূচি ঘোষণা করবো।’ 

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অনিক বলেন, ‘একজন দুর্নীতিবাজ কখনোই উপাচার্য থকতে পারে না। আমরা আল্টিমেটাম দিয়েছি কিন্তু উনি আমাদের আল্টিমেটাম মানেন নাই। তাই আমরা বলতে চাই উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবেই।’

এদিকে, উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’র ব্যানারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি একটি ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে গণসংযোগ করছেন তারা।

কেএসটি

আরও পড়ুন