• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০১৯, ১০:১৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২১, ২০১৯, ১০:২৬ এএম

অসমাঞ্জস্যতায় ঢাবি ‘ক’ ইউনিটের ফল স্থগিত

অসমাঞ্জস্যতায় ঢাবি ‘ক’ ইউনিটের ফল স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ‘ক’ ইউনিটের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলে অসামঞ্জস্য ও ভুল থাকার কারণে তা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে এ সংক্রান্ত এক জরুরি মিটিং শেষে ক ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক তোফায়েল আহমদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ফলাফল আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। যেসব জায়গায় ভুল ত্রুটি রয়েছে, সেগুলো অনুসন্ধানের কাজ চলছে। অনুসন্ধানের পর সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।

এর আগে রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে ক ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে কেন্দ্রীয় ভর্তি কার্যালয়ে ফল ঘোষণা করেন।

এদিকে ফল প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফলাফলে অসামঞ্জস্য থাকার অভিযোগ তুলেছেন অনেক পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক। এজন্য ফলাফল বাতিল করে পুনরায় খাতা মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা। ভর্তিচ্ছুদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেকের ক ইউনিটের গণিত অংশের ফলাফলে ভুল হয়েছে।

তারা অভিযোগ করেন, গণিত অংশের ফলাফল উল্টো দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ অনেক শিক্ষার্থীর গণিত অংশে ১০ প্রশ্ন সঠিক ও ৩টি প্রশ্ন ভুল হয়েছে বলে তারা ভর্তি পরীক্ষার পর মিলিয়ে দেখেছিলেন। কিন্তু ফলাফলে দেখা যায়, বিষয়টি পুরো উল্টো। অর্থাৎ তিনটি সঠিক ও ১০টি ভুল দেখাচ্ছে।

আবার অনেকে অন্য সব বিষয়ে ভালো নম্বর পেলেও গণিত অংশে ১৫টি ভুল উত্তর দেখাচ্ছে। এ করকম অনেক শিক্ষার্থীই অভিযোগ তুলেছেন। তারা অভিযোগ তুলেছেন, সবার ক্ষেত্রেই গণিত অংশের ফলাফল উল্টো হয়েছে। এটা ফলাফল তৈরির ভুল। ভুল উত্তরের সংখ্যার জায়গায় সঠিক উত্তরের সংখ্যা এবং সঠিক উত্তরের সংখ্যার জায়গায় ভুল উত্তরের সংখ্যা বসিয়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে খাতা পুনঃমূল্যায়নের সুযোগ থাকলেও খাতা পুনঃমূল্যায়ন নয় ফল বাতিল করে নতুন করে সকল খাতা মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন অনেক পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক। 

এবার ৭৫ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক ও ৪৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯০ মিনিটের পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার জন্য ৫০ মিনিট ও লিখিত পরীক্ষার জন্য সময় ছিল ৪০ মিনিট। প্রতিটি নৈর্ব্যক্তিকের জন্য ১ দশমিক ২৫ নম্বর বরাদ্দ ছিল। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা গেছে শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর। ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে হলে প্রার্থীকে নৈর্ব্যক্তিক অংশে ৩০ ও লিখিত অংশে ১২ নম্বরসহ মোট ৪৮ নম্বর পেতে হয়েছে। এ ছাড়া বিষয় ভিত্তিকভাবেও পরীক্ষার্থীদের পাস করতে হয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিক অংশে পাস করেছেন ২৫ হাজার ৯২৭ জন পরীক্ষার্থী। আর নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত অংশে সমন্বিতভাবে পাশ করেছেন ১১ হাজার ২০৭ পরীক্ষার্থী। এবছর ক ইউনিটের ১ হাজার ৭৯৫টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিল ৮৮ হাজার ৯৯৬ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৮৫ হাজার আটশত ৭৯ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন।

এমআইআর/একেএস
 

আরও পড়ুন