• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৯:১১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৯:১১ এএম

অবশেষে বাড়ছে প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন

অবশেষে বাড়ছে প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন

অবশেষে বাড়ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন। প্রশিক্ষণ পাওয়া ও প্রশিক্ষণবিহীন দুই ধরনের প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড হবে ১১তম। আর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড হবে ১৩তম।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে অর্থ বিভাগ সম্মতি দিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। পাশাপাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টির জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতিসহ প্রস্তাব পেলে এই পদেরও বেতন স্কেল নির্ধারণ করা হবে বলে জানায় অর্থ বিভাগ।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম আল হোসেন অর্থ বিভাগের সম্মতি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এখন বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

অবশ্য আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেছেন, এ রকমভাবে বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত তারা মানবেন না।

আন্দোলনের এমন পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার বেতন বৃদ্ধির সম্মতি দেয় অর্থ বিভাগ, যা মঙ্গলবার হাতে পেয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

আন্দোলনকারী প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সদস্যসচিব মোহাম্মদ শামছুদ্দিন বলেন, বেতন বৃদ্ধি করার বিষয়ে অর্থ বিভাগ যে সম্মতি দিয়েছে সেটা তারা মানবেন না। তাদের চাওয়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড হবে ১০ তম এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড হবে ১১ তম গ্রেডে।

বর্তমানে প্রশিক্ষণ পাওয়া প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে এবং প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকরা ১২তম গ্রেডে বেতন পান। অন্যদিকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকেরা ১৪তম গ্রেডে ও প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকেরা ১৫তম গ্রেডে বেতন পান। বর্তমানে সহকারী প্রধান শিক্ষকের কোনও পদ নেই। বেতন গ্রেড ১১ তম হলে একজন শিক্ষকের শুরুতে মূল বেতন হবে ১২ হাজার ৫০০ টাকা। আর ১৩তম গ্রেডে শুরুতে একজন শিক্ষকের মূল বেতন হবে ১১ হাজার টাকা।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১ তম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা ঢাকায় সমাবেশ করে আসন্ন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বর্জনেরও হুমকি দিয়েছিলেন। অবশ্য পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম আল হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করার পর শিক্ষকরা পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

এসএমএম