• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯, ০৮:২৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯, ০৮:২৪ পিএম

ভিকারুননিসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে রশিদ ছাড়া টাকা আদায়ের অভিযোগ

ভিকারুননিসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে রশিদ ছাড়া টাকা আদায়ের অভিযোগ
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করছে

ভিকারুননিসা নুন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ ফৌজিয়ার বিরুদ্ধে রশিদ ছাড়া টাকা আদায়ের অভিযোগ করেছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকরা। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।

অভিভাবকরা বলেন, মডেল টেস্ট, পিকনিক ও ব্যবহারিক বাবদ বিভিন্ন অঙ্কের টাকা রশিদ ছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করছে ভিকারুননিসা নুন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ ফৌজিয়া। নতুন শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভর্তির সময় সরকার নির্ধারিত ফি পাশাপাশি আরও বিভিন্ন খাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রশিদ ছাড়াই মোটা টাকা নেয়া হচ্ছে। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- অভিভাবক ফোরামের সভাপতি আনিসুর রহমান আনিস ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম হাওলাদার রানা।

লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত বেতন ও ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা নেয়া কেবল অনৈতিকই নয়, শাস্তিযোগ্য অপরাধও। কিন্তু ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ নিজ স্বাক্ষরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মডেল টেস্ট বাবদ ২ হাজার ৫০০ টাকা, পিকনিক বাবদ ১ হাজার টাকা, ব্যবহারিক বাবদ ৬০০ টাকাসহ মোট ১৪ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণ করেছেন। এই টাকার বেশি অংশই বিনা রশিদে গ্রহণ করা হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, আদায়কৃত ওই টাকা অধ্যক্ষসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র ভাগাভাগি করে নেন। আমরা এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই ও উল্লেখিত টাকা অবিলম্বে নোটিশ দিয়ে ফেরত দেয়ার অনুরোধ করছি। এছাড়া একই প্রক্রিয়ায় ৫ম শ্রেণি, ৮ম শ্রেণি ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গ্রহণ করেছেন। যার পরিমাণ প্রায় ৩ কোটি টাকারও বেশি। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যয়ের জন্য আর্থিক বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে কমিটি থাকার পরও কমিটির মতামত উপেক্ষা করে বিল পাস করার চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। এসময় তারা ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার মান ফিরিয়ে এনে প্রশাসনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করাসহ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে নিশ্চিত করতে বেআইনি কার্যক্রম বন্ধের দাবিও জানান।

এছাড়াও অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করে কমপক্ষে ৭ দিন ভর্তির সময়সীমা নির্ধারণও করে পুরনো পদ্ধতিতে ভর্তির নিয়ম করারও আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এইচএম/টিএফ

আরও পড়ুন