• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০, ০৭:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০, ০৭:০৬ পিএম

শেষ হলো ৯ম আন্তঃস্কুল বাংলা অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা

শেষ হলো ৯ম আন্তঃস্কুল বাংলা অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা
৯ম আন্তঃস্কুল বাংলা অলিম্পিয়াডে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের একাংশ ● সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির শেষ দিনে সারা দেশের ৯৯ টি ইংলিশ মিডিয়াম ও ইংলিশ ভার্সন স্কুলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৯ম আন্তঃস্কুল বাংলা অলিম্পিয়াড- ২০২০’ চূড়ান্ত পর্ব। অনুষ্ঠানে ১১১ জন পুরস্কৃত হয়।

শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার উত্তরায় ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী আয়োজনে বাংলা অলিম্পিয়াডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয় সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিটে। 

মুজিববর্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গিত ৯ম বাংলা অলিম্পিয়াডে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তব্য রাখেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা আবৃত্তিকার আশরাফুল আলম।

দিনব্যাপী প্রতিযোগিতার পর সন্ধ্যায় ছিল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর।  এ সময় দিলশাদ নাহার কাকলীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকার পাশাপাশি এ বছর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামেও বাংলা অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চট্টগ্রামের পূর্ব নাসিরাবাদে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে ২২ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) দিনব্যাপী আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ৯ম বাংলা অলিম্পিয়াডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

চট্টগ্রামে অংশ নেয় ২৬ টি স্কুলের ৩৪২ জন এবং ঢাকায় অংশ নিয়েছে ৯৯ টি স্কুলের ১৬৪৮ জন শিক্ষার্থী।

প্রতিযোগিতা উপলক্ষে অনুষ্ঠান সাজানো হয় ‘মুজিববর্ষ’ মাথায় রেখে। শিশুদের আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ও পোস্টার দিয়ে সাজানো হয় অনুষ্ঠানস্থল। সবগুলো প্রতিযোগিতায় ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে নানা প্রশ্ন ও পরিবেশনা। 

এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মূলত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলো ভাষার মাসে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। মোট ৭টি বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারের প্রতিযোগিতা। আবৃত্তি, সঙ্গীত, চিত্রাংকণ, উপস্থিত বক্তৃতা, নৃত্য, বাংলা কুইজ ও রচনা প্রতিযোগিতা নিয়ে এবারের ৯ম বাংলা অলিম্পিয়াড। 

৯ম বাংলা অলিম্পিয়াডের উপদেষ্টা ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, ছড়াকার আনজীর লিটন, সরকারি সঙ্গীত কলেজের অধ্যক্ষ কৃষ্টি হেফাজসহ বিশিষ্ট জনরা।

বিচারক হিসেবে ছিলেন অভিনেতা ও আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, আশরাফুল আলম, শিমুল মুস্তাফা, রূপা চক্রবর্তী, ডালিয়া আহমেদ, মাহিদুল ইসলাম, মাসকুর-ই-সাত্তার কল্লোল, দীপঙ্কর দাশ রতন, নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান আনিসুল ইসলাম হিরু, সাজু আহমেদ, নিলুফার আহমেদ পাপড়ি, সঙ্গীতশিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল, কিরণ চন্দ্র রায় জহির আলীম, অনিমা রায়, মাইনুল আহসান, এম এম ইউনুসুর রহমান, আজিজুর রহমান তুহিন, মেহফুজ আল ফাহাদ এবং মফিজুর রহমান, শিশুসাহিত্যিক আশরাফুল আলম পিনটু, আহমেদ রিয়াজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড.পারভীন আক্তার জেমী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক শরীফ সিরাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষক কামাল উদ্দীন, ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টসের চিত্রকলার শিক্ষক এ এফ এম মনিরুজ্জামান শিপু, ড. মিজানুর রহমান ফকির ও চিত্রশিল্পী সঞ্জীব দাস অপু, সরকারি কর্ম কমিশনের পরিচালক নেয়ামত উল্লাহ এবং নায়েমের সাবেক পরিচালক ড. আতিকুল ইসলাম পাঠান। 

এসএমএম