• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২০, ০২:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৩, ২০২০, ০২:৫৩ পিএম

মোংলায় স্কুলে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত!

মোংলায় স্কুলে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত!

বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এবং শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গত ১৭ মার্চ থেকে সারাদেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করার ভাবছে। ঠিক সেই সময়ে বাগেরহাট জেলার মোংলার সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে স্কুল খুলে দিয়ে বেতন আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। 

তবে সেন্ট পলস স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে তারা স্কুল খুলেছেন এবং বার্ষিক পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও শিক্ষা কর্মকর্তা এমন কোনো অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করছেন।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে সেই মার্চ মাস থেকে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সবশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধই থাকছে। শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করতে নভেম্বর-ডিসেম্বরে স্কুল খোলার গুঞ্জন ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই গুঞ্জন বাস্তবায়নের কোনো ইঙ্গিত নেই। বরং বিকল্প কোন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করা যায়, সে বিষয়টি ঠিক করতে কাজ করে যাচ্ছে শিক্ষা সংক্রান্ত দুই মন্ত্রণালয়।

এদিকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী সেই মার্চ থেকে মোংলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই আচমকা গত সপ্তাহে মোংলার সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ফোন করে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জরুরি প্রয়োজনে বিদ্যালয়ে যেতে বলেন। সন্তানদের নিয়ে অভিভাবকরা স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস ধরিয়ে দেন। একইসঙ্গে বেতনও আদায় করেন। যারা তাৎক্ষণিকভাবে বেতন দিতে পারেননি, তাদের পরে দ্রুত বেতন পরিশোধ করতে বলা হয়।

কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, স্কুল থেকে স্যারেরা খবর দেওয়ায় তাদের স্কুলে যেতে হয়েছে। আর স্কুলে যাওয়ার পরপরই তাদের কাছ থেকে বেতন নেওয়া হয়েছে, দেওয়া হয়েছে বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস।স্যারেরা আমাদের বলেছেন বার্ষিক পরীক্ষা হবে। তাই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।

এ প্রসঙ্গে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক চিরঞ্জিত সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে আমরা সিলেবাস দিচ্ছি। শিক্ষার্থীরা যেন বার্ষিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে, সেজন্যই সিলেবাস দেওয়া হচ্ছে। সামনে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।

তবে স্কুলের এই দাবি অস্বীকার করছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার উল কুদ্দুস বলেন, আমি কোনো প্রতিষ্ঠানকে খুলতে বলিনি। বরং সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয় খোলার কথা শুনে তাদের সতর্ক করেছি, তারা যেন আর স্কুল না খোলে।

জাগরণ/এমআর