• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২০, ১১:১২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২০, ২০২০, ১১:১২ এএম

করোনায় আটকে পরীক্ষা, চাকরির আবেদন নিয়ে শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা

করোনায় আটকে পরীক্ষা, চাকরির আবেদন নিয়ে শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা
ছবি: সংগৃহীত

বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় গত ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও (রাবি)।  সে সময়ে বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলমান ছিল। কিন্তু আজ অবধি ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় নানা সংকটে পড়ছে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

ফলে বাকি থাকা পরীক্ষাগুলো নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এম. আব্দুস সোবহান বরাবর লিখিত আবেদন দেন তারা।

আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এলএলবি (সম্মান) পার্ট-৪ এর শিক্ষার্থী। গত ৫ মার্চ তারিখে আমাদের পরীক্ষা শুরু হয় যা শেষ হওয়ার সম্ভব্য তারিখ ছিলো ২ এপ্রিল। কিন্তু ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় সরকার গত ১৮ মার্চ থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেন; যা এখনো চলমান। ফলে আমাদের ৫ টি কোর্সের পরীক্ষা অসমাপ্ত থেকে যায়। ফলে আমাদের সনদপ্রাপ্তির সময়কাল অনির্দিষ্ট কালের জন্য দীর্ঘায়িত হচ্ছে।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়, পরীক্ষা অসমাপ্ত থাকার ফলে আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভবনা আছে বলে মনে করি। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন কর্তৃক ১৩ তম জুডিশিয়ারি নিয়োগ পরীক্ষার মৌখিক অংশের সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। পূর্ববর্তী পরীক্ষা থেকে জানা যায় মৌখিক পরীক্ষার পরপর দ্রুত সময়ে পরবর্তী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। 

আমরা আশঙ্কা করছি, পরবর্তী বিচারক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবো না। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সরকারী বেসরকারী চাকরিসমূহের বয়সসীমা সুনির্দিষ্ট হওয়ায় চাকরি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগও কমে যাচ্ছে।

আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুন নাইম মিতু, রুবাইয়া এলিন সুধা, মাহমুদুল হাসান, ইমরান ভূঁইয়া, আব্দুল আলীম, মাসরুখ হোসাইন প্রমুখ।

এদিকে শুধু আইন বিভাগ নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অনেক বিভাগ আছে যাদের পরীক্ষা অসমাপ্ত রয়েছে। এতে একদিকে তারা যেমন অনলাইনে পরবর্তী বর্ষের ক্লাসে অংশ নিতে পারছেন না, অন্যদিকে রয়েছে সেশনজট আর চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা। এসব কিছু নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন দিন হতাশা বাড়ছে তাদের। তাই দ্রুত বাকি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

জাগরণ/এমআর