• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২০, ০৩:৪৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১০, ২০২০, ০৩:৪৭ পিএম

যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি শিক্ষকদের

যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি শিক্ষকদের

গত মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এরপর থেকে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়ের উৎসও বন্ধ। শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনও দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে দুই এক মাসের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে।

বাংলাদেশের প্রায় সব কিন্ডারগার্টেন স্কুল-কলেজ ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান নিজস্ব অর্থায়নে ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হয়। দেশে এ রকম প্রতিষ্ঠান আছে ৬৫ হাজারের মতো। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক কর্মচারী আছেন প্রায় ১২ লাখ। এ প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত টিউশন ফি দ্বারা পরিচালিত হয়।

করোনা সংকটে কিন্ডারগার্টেন স্কুল-কলেজ ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে মানববন্ধনে এসব কথা বলেন শিক্ষকেরা।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তারা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. আহসান সিদ্দিকী বলেন, ‘দেশের প্রায় সব কিন্ডারগার্টেন স্কুল কলেজ ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান নিজস্ব অর্থায়নে ভাড়াবাড়িতে পরিচালনা করা হয়ে থাকে। সারাদেশে প্রায় ৬৫ হাজারের মতো এ রকম প্রতিষ্ঠান আছে। এতে প্রায় ১২ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োজিত। এসব প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত টিউশন ফি দ্বারা পরিচালিত হয়।’

তিনি বলেন, ‘গত ১৬ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও অচল হয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠনগুলোর প্রায় ৮ মাসের বাড়ি ভাড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। এমনকি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বাড়িওয়ালারাও প্রতিনিয়ত ভাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের শতকরা ৮০ ভাগ প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে এবং লাখ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী ও পরিচালক বেকার হয়ে যাবে।’

এই সেক্টরে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে আহসান সিদ্দিকী বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি শিক্ষকদের দাবি না মানা হয়, তাহলে আমাদের জীবন রক্ষার আর কোনও উপায় থাকবে না।’ এ সময় তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

তাদের দাবিগুলো হলো- করোনা দুর্যোগকালীন কিন্ডারগার্টেন স্কুল-কলেজ ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান পরিচালকদের উদ্যোক্তা ঘোষণার মাধ্যমে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে, ২০২১ সালের ভর্তির সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা প্রদান করতে হবে এবং বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
জাগরণ/এমইউ