• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২১, ০৫:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৯, ২০২১, ০৫:০৫ পিএম

৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে ফিরতে চায়

৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে ফিরতে চায়

দেশের ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী দ্রুত ক্লাসে ফিরতে চায়। পাশাপাশি ৭৬ শতাংশ অভিভাবক, ৫৮ শতাংশ শিক্ষক ও ৭৩ শতাংশ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং ৫২ শতাংশ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে।

গণস্বাক্ষরতা অভিযানের ‘এডুকেশন ওয়াচ ২০২০-২১ সমীক্ষার অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন’–এমন তথ্য উঠে এসেছে। 

ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মঙ্গলবার এই তথ্য তুলে ধরেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। 

সংগঠনটি জানায়, দেশের আটটি বিভাগের আট জেলার ২১ উপজেলা নির্বাচন করে নির্ধারিত সূচকের ভিত্তিতে নমুনা নির্বাচন করে গবেষণাটি করা হয়েছে। 

সমীক্ষায় মোট ২ হাজার ৯৯২ জন উত্তরদাতার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৭০৯ জন শিক্ষার্থী, ৫৭৮ জন শিক্ষক, ৫৭৬ জন অভিভাবক রয়েছেন। অন্যরা জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফেব্রুয়ারি থেকে ধাপে ধাপে বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রথমে করোনার সংক্রমণ নেই বা একেবারে কম থাকা গ্রামীণ এলাকার স্কুলগুলো খুলে দেওয়ার কথা বলেছে তারা। এরপর মার্চ থেকে বড় বড় শহরের স্কুলগুলো খোলার সুপারিশ করা হয়েছে। 

সমীক্ষায় দেখা গেছে, সংসদ টিভি, অনলাইন, রেডিও ও মোবাইল মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল কম। ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। বাকি ৬৯ দশমিক ৫ শতাংশ অংশ নেয়নি। 

করোনার প্রভাবে ঝরে পড়া, অনুপস্থিতি, বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রম বাড়বে বলেও প্রতিষ্ঠানটি বলছে।

ভার্চ্যুয়াল এই সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী। 

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, “পরিবেশ, পরিস্থিতি ও সক্ষমতা বিবেচনা করে বিদ্যালয় খুলতে হবে। কবে খোলা হবে, সে বিষয়ে দ্রুত ঘোষণা আসা উচিত। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নিতে পারবে। আর এ জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে বিনিয়োগের যথাযথ ব্যবহারের জন্য তদারক ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।”

করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি আছে।