• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১, ০৯:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১, ১১:১১ এএম

জাবির হল সিলগালা, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলবে 

জাবির হল সিলগালা, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলবে 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল না ছেড়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে নতুন করে অন্তত দুইটি হল সিলগালা করেছে প্রশাসন। এর মধ্যে দিয়ে মোট ১৬টির মধ্যে নয়টি হলে আবারও প্রশাসনের তালা ঝুলল।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রেুয়ারি) বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। তবে সিদ্ধান্তে অটল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সংবাদ সম্মেলনে চার দফা দাবি পেশ করেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা, হল খোলা ও প্রয়োজনীয় সুযোগসুবিধা দেওয়া এবং হামলায় আহতদের চিকিৎসা ব্যয় ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া। এসব দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

এদিকে শিক্ষার্থীদের শহীদ রফিক জব্বার এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পরে হল দুটি সিলগালা করে প্রশাসন।

শহীদ রফিক জব্বার হল সিলগালা করে ছাত্রলীগকে ‘বিশেষ’ ধন্যবাদ দিয়েছেন হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সোহেল আহমেদ। এক ফেসবুক পোস্টে অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, “শহীদ রফিক-জব্বার হল সিলগালা করা হল। আমি প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আমার প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীদের, বিশেষ করে শহীদ রফিক-জব্বার হলের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন মনের নেতাকর্মীদের।”

প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, “ইতোমধ্যে দুইটি হলের ফটক সিলগালা করা হয়েছে। বাকি হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছে। ওই হলগুলোতেও আমাদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে আর অনুরোধ জানানো হবে না। বাকিটা রাষ্ট্রীয় প্রশাসন দেখবে।”

ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উপরে হামলা করে স্থানীয়রা। এ হামলায় অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী ও চারজন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন। এর মধ্যে অন্তত ১১ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

হামলা ও সংঘর্ষের পরে স্থানীয় মেসগুলোতে অবস্থান করতে ‘নিরাপত্তার অভাব’ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। তবে সরকারের নির্দেশনা ছাড়া হল খোলা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপরেই সবগুলো আবাসিক হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। তবে পরবর্তীতে আবারও কয়েকটি হলে তালা ঝুলিয়ে দেয় সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসন।