২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য ১ এপ্রিল হতে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন।

সোমবার (৮ মার্চ) দুপুর ১২টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত উপাচার্যদের সমন্বয়ের গঠিত কোর কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।

যেসব শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম যোগ্যতা থাকবে তারা সকলেই প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন। তাদের কোনো ফি দিতে হবে না। পরীক্ষা শুরু হবে ১৯ জুন থেকে।

জানা যায়, যে সব শিক্ষার্থীরা ২০১৯ বা ২০২০ সালে এইচএসসি/আলিম ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তারাই আবেদন করতে পারবেন। বিজ্ঞান শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৮.০, বাণিজ্য শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৭.৫ এবং মানবিক শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৭.০ থাকতে হবে।

তবে প্রত্যেক শাখাতে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে। 

শুধুমাত্র এ বছরের জন্যই গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ ও ২০২০ সালে এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আগামীবার থেকে পূর্ববর্তী বছরের পাস করা অর্থাৎ দ্বিতীয়বার শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না।

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একযোগে যতজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে মেধার ভিত্তিতে ততজন শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হবে। 

প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃতরা মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা জমা দিয়ে ২৪ এপ্রিল হতে ২০ মে তারিখের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবেন। 

সকল পরীক্ষা নির্দিষ্ট কেন্দ্রে একযোগে বেলা ১২টায় শুরু হবে। একজন শিক্ষার্থী কমপক্ষে ৫টি পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচন/চয়েস করতে পারবেন। ২০১৯ সালের পাসকৃত শিক্ষার্থীরা বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘কেন্দ্র’ হিসেবে চয়েস বা পছন্দ করতে পারবেন না। প্রয়োজনে পছন্দকৃত নির্দিষ্ট কেন্দ্রের বাইরেও পরীক্ষা দিতে হতে পারবেন।

আবেদনকারীরা ১ জুন থেকে ১০ জুন তারিখের মধ্যে অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। ভর্তি পরীক্ষা ১৯ জুন থেকে শুরু হবে। ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্যাদি ভর্তি সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট (www.gstadmission.org এবং www.gstadmission.ac.bd) ও জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।