• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৬, ২০২১, ০৯:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৬, ২০২১, ১১:১৩ পিএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

বিদায়ের দিনেও উপাচার্যের অবৈধ নিয়োগ

বিদায়ের দিনেও উপাচার্যের অবৈধ নিয়োগ

নিজের বিদায় দিনে নিয়ম বহির্ভূতভাবে জনবল নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে।

বিষয়টি জানতে পেরে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কমিটির ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে আহ্বায়ক করে আরেক সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. জাকির হোসেনকে সদস্য করে ইউজিসির পরিচালক (পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়) মোহাম্মদ জামিনুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। চার সদস্যের এ কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব শামিমা বেগম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি গঠনের তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। এ জন্য গত বছরের ১০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তৎকালীন সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখতে উপাচার্যকে অনুরোধ করা হয়েছিল।

কমিটির কার্যপরিধি হিসেবে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী উপাচার্যের অবৈধ নিয়োগ ও অনিয়ম প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলকরণ, কমিটির দায়-দায়িত্ব নিরূপণপূর্বক প্রতিবেদন পেশ করাসহ আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন প্রদান করতে বলা হয়েছে।

২০১৭ সালের ৭ মে দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য পদে নিয়োগ পান অধ্যাপক আব্দুস সোবহান। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে যোগ্যতা শিথিল করে মেয়ে-জামাতাকে নিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। গত বছর ইউজিসির তদন্তে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরণের নিয়োগ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়। তবে শেষ দিনে সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে ১৪১ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান।