• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১০, ২০২১, ০৮:৪৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১০, ২০২১, ০৮:৪৭ পিএম

কম খরচে করোনা শনাক্তে যবিপ্রবির উদ্ভাবন

কম খরচে করোনা শনাক্তে যবিপ্রবির উদ্ভাবন

কম খরচে করোনাভাইরাস শনাক্তে ‘সাইবারগ্রিন পদ্ধতি’ উদ্ভাবন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

সোমবার (১০ মে) যবিপ্রবির প্রশাসনকি ভবনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জিনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন নতুন এ উদ্ভাবনের ঘোষণা দেন।

ড. আনোয়ার হোসেন জানান, এই পদ্ধতিতে একজনের করোনা শনাক্তে মাত্র ১৪০ টাকার মতো খরচ হবে। এরমধ্যে আরএনএ এক্সট্রাকশন কিট ১০ টাকা, আরটি-পিসিআর কিট ১২০ টাকা, প্রাইমার ৩ টাকা ও অন্যান্য ৭ টাকা। এ পরীক্ষায় সময় লাগবে মাত্র ৯০ মিনিট। একটি মাত্র টিউবেই এ পদ্ধতিতে করোনার বর্তমান ধরণগুলো শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, পরীক্ষা করে দেখা গেছে- সাইবারগ্রিন পদ্ধতিতে করোনা শনাক্তের সেনসিটিভিটি প্রচলিত অন্যান্য কিটের সমপর্যায়ের। এই গবেষণাটি প্রিপ্রিন্ট আকারে ‘medrxiv’ (মেডিকেল আর্কাইভ সেন্টার) সার্ভারে পাওয়া যাচ্ছে এবং একটি পিয়ার রিভিউড জার্নালে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের সহায়তা পেলে আমরা এই গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজে এবং কম খরচে করোনা শনাক্তের কাজটি আমাদের দেশে করতে সক্ষম হবো।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে সংক্রমণশীল নতুন ধরণ আমাদের মধ্যে এক ধরনের শঙ্কার সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ড.আনোয়ার হোসেন বলেন, যশোর সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় এবং সাম্প্রতিক সময়ে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের গবেষক দল সাম্প্রতিক নমুনাগুলো থেকে ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্টগুলো হোল জিনোম সিকুয়েন্সিং এবং স্পাইক প্রোটিনের সিকুয়েন্সিং এর মাধ্যমে চিহ্নিত করেছেন। এরমধ্যে পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকুয়েন্স জিএসআইডি ডাটাবেজে জমা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভারত থেকে আসা ১৬ জনের নমুনা যবিপ্রবির জেনোম সেন্টারে পাঠানো হয়, যার মধ্যে তিনজনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। পজিটিভ তিনজনের মধ্যে দু’জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ধরণ শনাক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় এ ধরণটি বি ১.৬১৭.২ নামে পরিচিত, যার মধ্যে স্পাইক প্রোটিনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মিউটেশন রয়েছে। যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে ১৭ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে করোনাভাইরাস পরীক্ষা শুরু করে, এরমধ্যে ৪০ হাজারের অধিক নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন— অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সেলিনা আক্তার, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শিরিন নিগার, বায়ো-মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসান মো. আল-ইমরান, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শোভন লাল সরকার, গবেষক তনয় চক্রবর্তী প্রমুখ।