অক্টোবরে খুলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় প্রভোস্ট কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল।
তিনি বলেন, করোনার টিকা নেয়া শিক্ষার্থীদের পর্যায়ক্রমে হলে তোলা হবে।
ছাত্রাবাস না খুলেই ১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীর পরীক্ষার কথা জানিয়েছেন সাত কলেজের মুখপাত্র।
সেই গেলো বছরের মার্চ থেকে বন্ধ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। অনলাইনে ক্লাস চললেও এবার প্রতিষ্ঠান খোলার কথা ভাবছে প্রাশাসন।
আবাসিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমও চলছে। আর এই কার্যক্রম শেষ হলেই আবাসিক হল আর ক্যাস্পাস খোলা সহজ হবে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আপাতত সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ আবাসিক হল খোলার পরিকল্পনা থাকলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসে প্রোভোস্ট কমিটির বৈঠক শেষে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য জানান, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই আবাসিক হল খুলে দেয়া হবে। তবে প্রথমে মাস্টার্স ও অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য খুলবে।
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আনা হবে। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীর জন্য সব শিক্ষার্থীকে এক সঙ্গে আনা যাচ্ছে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুললেও অধিভুক্ত সাত কলেজের ছাত্রাবাস না খুলে পরীক্ষা নেয়া হবে। এমন সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ।
সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়ক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলছেন, কলেজগুলোর সাথে আলোচনা করেই নেয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত।
সাত কলেজের মুখপাত্র আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার জানান, আসন বিন্যাসে পরিবর্তন ও পরীক্ষার সময় অর্ধেক করায় ঝুঁকি অনেক কমবে। সেশনজট কাটাতে অন্য বিকল্প নেই।
১ সেপ্টেম্বর থেকে দ্বিতীয় বর্ষ স্পেশাল, ডিগ্রি আর মাস্টর্সের পরীক্ষা শুরু হবে। করোনার সংক্রমণ কমে এলে অন্যান্য বর্ষের রুটিনও দেয়া হবে।
জাগরণ/এসএসকে/এমএ