• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২১, ০৬:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৫, ২০২১, ০৬:১১ পিএম

ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী 

১২ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা

১২ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সংগৃহীত

আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভাশেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী গণমাধ্যমকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাস্ক পরা ছাড়া কেউ শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না। শিক্ষার্থী, শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। একেবারে কমবয়সী যারা, তাদের কোনো সংকট হচ্ছে কি না তা শিক্ষকদের খেয়াল রাখতে হবে।

২০২১ এবং ২০২২ সালে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দেবে, তারা প্রতিদিন ক্লাস করবে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রাথমিকে ৫ম শ্রেণি প্রতিদিন ক্লাস করবে। ১ম, ২য়, ৩য় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস এবং মাধ্যমিকে ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৯ম শ্রেণির ক্লাস হবে সপ্তাহে এক দিন।

দীপু মনি বলেন, শুরুতে চার ঘণ্টা করে ক্লাস হবে। পর্যায়ক্রমে সব শ্রেণির ক্লাসের সময় বাড়ানো হবে। স্কুলে প্রবেশের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করাতে হবে। স্কুলে আপাতত কোনো অ্যাসেম্বলি হবে না। তবে ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি বা খেলাধুলা চলবে, যাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো অবস্থানে থাকতে পারে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে চেকলিস্ট পূরণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। র‌্যান্ডম স্যাম্পলিং করে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে বন্ধ করার সিদ্ধান্তও নেয়া হতে পারে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলাকালে কী কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সে সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। অভিভাবকরা যখন তাদের সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাবেন তখন তার পরিবারের কেউ কিংবা শিক্ষার্থীর করোনার উপসর্গ নেই তা নিশ্চিত করবেন। তার সন্তানের মাধ্যমে যেন অন্য কোনো শিক্ষার্থী সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা না থাকে সে ব্যাপারে সচেতন থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবে তখন করোনা সম্পর্কিত যত ধরনের গাইডলাইন, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) যা যা হালনাগাদ করা হয়েছে তার ভিত্তিতে শিক্ষক ও অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিদিনের শারীরিক তাপমাত্রা মাপা, কারও কোনো উপসর্গ আছে কি-না তা পরীক্ষা করা এবং শ্রেণিকক্ষে সবার মুখে মাস্ক পরা আছে কি-না তা নিয়মিত পরীক্ষা করবেন। মাস্ক ছাড়া কাউকে ক্লাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এক্ষেত্রে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের মুখে মাস্ক পরিয়ে ক্লাসে পাঠাবেন।