• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২২, ১২:১৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৫, ২০২২, ১২:১৩ এএম

ভুলে ভরা পাঠ্যবই

ভুলে ভরা পাঠ্যবই

ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে একশ’র বেশি ভুল রয়েছে।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে ভুল থাকায় আগামী প্রজন্মের বড় ধরনের ক্ষতি হবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- এনসিটিবি বলছে, আগামী শিক্ষাবর্ষে এগুলো সংশোধন করা হবে।

বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার রেওয়াজ শুরু হয় ২০১০ সাল থেকে। প্রতি বছর এই সব বইয়ে কম বেশি ভুল থাকে। আর সেই ভুল দিয়েই যদি শুরু হয় শিক্ষাজীবন তাহলে তার খেসারত দিতে হয় সারা জীবন।

২০২২ সালে প্রকাশিত জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ বইয়ের ১৭৮ পৃষ্ঠায় হয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি উৎসবের দিন। অথচ ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মরণে দিনটিকে ঐতিহাসিকভাবে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়েছে। অষ্টম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিত বইয়ের ১শ১৯-১শ২১ পৃষ্ঠায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নানা ইতিহাস ও বর্ণনা রয়েছে। এখানে জাতির পিতার কোনো তথ্য নেই।

সপ্তম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিত বইয়ের ১৫ পৃষ্ঠায় শহিদ শিরোনামে রচনায় বলা হয়েছে, ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি নিখিল পাকিস্তান মুসলিম লীগের অধিবেশনে প্রথম পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিন ঘোষণা করেন- ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্টভাষা’। অথচ প্রকৃত সত্য হচ্ছে ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এই ঘোষণা করেন।

নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ে ইতিহাসের কিছু তথ্যবিভ্রাটের পাশাপাশি ২২ পৃষ্ঠায় বাংলাদেশ বানান ভুল ছাপা হয়েছে। একই বইয়ের ২৮ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে- জেনারেল এরশাদের সপ্তম সংশোধনী ও ত্রয়োদশ সংশোধনী সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করে দিয়েছে। অথচ ত্রয়োদশ সংশোধনী ১৯৯৬ সালে বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের সময় করা হয়।

ইংরেজি মাধ্যমের বইয়ের আছে নানা ভুল। পাঠ্য বইয়ে এই ধরনের ভুল অন্যায়-বলছেন শিক্ষাবিদরা। অধ্যাপক এলতাসউদ্দিন ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত এনসিটিবির মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি বলেন, যোগ্য লোকের অভাবেই বই ভুল হয়ে থাকে।

পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর আগে, ছাগলকে গাছে চড়িয়ে এবং ওড়না নিয়ে ভুল উপস্থাপনের কারণে বিতর্কে পড়েছিল জাতীয় পাঠ্য পুস্তক বোর্ড। চ্যানেলআই অনলাইন।

জাগরণ/এসএসকে