• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯, ০৯:৪২ পিএম

জাবি প্রশাসনের পাঁচ পদে রদবদল

জাবি প্রশাসনের পাঁচ পদে রদবদল

 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকসহ গুরুত্বপূর্ণ ৫টি পদে রদবদল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। 

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, চার বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কারণে এসব পদে রদবদল করা হয়েছে। পদগুলোর মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক, ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি)'র পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালক (দুই জন) ও ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক। এসকল পদে মধ্যে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও আইকিউএসি’র পরিচালক পদ থেকে অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদারকে অব্যাহতি দিয়ে যথাক্রমে অধ্যাপক হানিফ আলি ও অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুর রশিদকে অব্যাহতি দিয়ে অধ্যাপক মো. মঞ্জুরুল হাসানকে এবং আরেক অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক তপন কুমার সাহা’র স্থলে অধ্যাপক আব্দল্লাহ মোহাম্মদ সোহায়েলকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক খবির উদ্দিনকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে অধ্যাপক এ এ মামুনকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় রোববার বিকেলে উপাচার্য বিরোধী শিক্ষকদের জোট ‘সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ’ এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, ‘মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে বহাল তবিয়তে আছেন। উপাচার্যপন্থী শিক্ষক হওয়ায় যথাক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, ছাত্র কল্যাণ ও পরামর্শ দান কেন্দ্রের পরিচালক পদ থেকে অধ্যাপক বশির আহমেদ ও অধ্যাপক রাশেদা আখতারকে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও বাদ দেয়া হয়নি।’ এটাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈষম্যমূলক আচরণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন জোটের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম দৈনিক জাগরণ’কে বলেন, ‘উনাদের বদলাবো দেখেই কি এদেরও বদলাতে হবে? যারা আমার  বিশ্বস্ত তাদেরকে আমি বদল নাও করতে পারি। অবিশ্বস্ত লোক নিয়ে কাজ করলে প্রশাসনে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।’

কেটি