সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে দেশের ১২তম সিটি ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রথম ভোট। কোনো বিরতি ছাড়াই ভোট চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনি এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে মেয়র পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের এ ভোটে ভোটার উপস্থিতি কেমন হবে- তা নিয়ে খানিকটা চিন্তায় রয়েছে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, এপিবিএনের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হচ্ছে।

এছাড়া বিভিন্ন কারণে স্থগিত হওয়া চারটি উপজেলা পরিষদ- কুমিল্লার বরুড়া, ময়মনসিংহের ত্রিশাল, লালমনিরহাটের আদিতমারী আর শুধু চেয়ারম্যান পদে ভোট হচ্ছে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায়। এছাড়াও সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সিংচাপইর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনও শুরু হয়েছে একই সময়ে।

জানা গেছে, ময়মনসিংহ সিটি ভোটে প্রতিকেন্দ্রে ৩ জন করে মোট ৩৮১ জন ও মোবাইল টিমে ২৩১ এবং স্ট্রাইকিং ফোর্সে ১৩২ জন পুলিশ, প্রতি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১২ জন করে ৯৫ কেন্দ্রে ১ হাজার ১৪০ জন এবং প্রতি সাধারণ কেন্দ্রে ১০ জন করে ৩২ কেন্দ্রে ৩২০ জন আনসার সদস্য, স্ট্রাইকিং ফোস/মোবাইল টিমে ৩৩জন ব্যাটিলিয়ন আনসার, স্ট্রাইকিং ফোর্স/মোবাইল টিমে ১৮০ জন এপিবিএন এবং ৪২০ জন বিজিবি সদস্য নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন।

এ সিটিতে সাধারণ কেন্দ্রে ১২ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৫ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও এর আগে অন্যান্য সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল।

ময়মনসিংহ সিটির ৩৩টি  সাধারণ ওয়ার্ডে ২৪২ এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১১টি ওয়ার্ডে ৭০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর ১২৭ ভোটকেন্দ্রের ৮৩০টি ভোটকক্ষের ভোট দেবেন ২ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩৪ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৫৫ এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৭৯ জন।

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৮ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১০ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ সময় ১৭ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ এপ্রিল এবং ভোটগ্রহণের ৫ মে নির্ধারণ করে ২৫ মার্চ এ সিটি ভোটের তফসিল ঘোষণা করে ইসি।

এইচএস/টিএফ