• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৪, ২০১৯, ০৪:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৪, ২০১৯, ০৪:৪০ পিএম

যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের জন্য স্মার্টকার্ড 

সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ২৪ জুলাই যাচ্ছে ইসি কারিগরি টিম

সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ২৪ জুলাই যাচ্ছে ইসি কারিগরি টিম

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আগামী জুন থেকেই সিঙ্গাপুর প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করার পাশাপাশি স্মার্টকার্ড দেয়ার কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গেলো মার্চে সিঙ্গাপুরে সম্ভাব্যতা যাচাই করে এসেছে ইসির একটি কারিগরি টিম। এবার যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করতে ও তাদের স্মার্টকার্ড সরবরাহ করতে উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম দেশটি সফরে যাচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম নেতৃত্বাধীন টিমটি আগামী ২৪ জুলাই যুক্তরাজ্যে যাবে। এ টিমে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদেরও থাকার কথা রয়েছে।

ইসি সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামী ২৪ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই যুক্তরাজ্যে অবস্থান করবেন ইসির কারিগরি টিমটি। ২৮ জুলাই দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার, বাংলাদেশের কমিউনিটি ও যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সে বৈঠকের ফলাফল অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

জানতে চাইলে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ দৈনিক জাগরণকে বলেন, সংশ্লিষ্ট দেশে গিয়ে প্রবাসীদের ভোটার করা ও তাদের স্মার্টকার্ড দেয়ার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তাতে সিঙ্গাপুরকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংখ্যা কম। এ কারণে ইসি সিঙ্গাপুরে পাইলটিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরপর আমরা যুক্তরাজ্যে যাচ্ছি সম্ভাবতা যাচাইয়ে। সেখানে বাংলাদেশের হাইকমিশন, কমিউনিটি ও পররাষ্ট্র দফতরের সঙ্গে বৈঠক করবো। সেখান থেকেই হয়তো করণীয় উঠে আসবে।

ইসির এনআইডি শাখার মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান, পুরো কর্মপন্থাটি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনের একটি করে লোকাল সার্ভার স্থাপন করা হবে। সেই সার্ভারের অধীনে কয়েকটি টেম্পোরারি সার্ভার স্থাপন করা হবে। লোকাল সার্ভারের সঙ্গে টেম্পোরারি সার্ভারের সংযোগ থাকবে। আর টেম্পোরারি সার্ভারের মাধ্যমেই নাগরিকদের তথ্য ইনপুট দেয়া হবে।

তিনি জানান, বিদেশ থেকে সেই তথ্য দেশে এনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপজেলায় পাঠানো হবে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তদন্ত শেষে প্রতিবেদন পাঠাবেন। প্রতিবেদনে সত্যতা মিললে তবেই কেবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হবেন। এরপর সংশ্লিষ্ট দেশেই দূতাবাসের মাধ্যমে এনআইডি সরবরাহ করা হবে।

ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিশ্বের ১৫৭টি দেশে প্রায় এক কোটির উপরে প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। এর মধ্যে জনবহুল ৩টি দেশ অর্থাৎ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় ধাপের ভোটার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রথম ধাপে সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, দুবাই, কাতার, বাহরাইন প্রবাসীদের ভোটার করার পরিকল্পনা ইসি নিয়েছে।

১৯৯৮ সালে দেশের উচ্চ আদালত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার সংবিধান স্বীকৃত বলে ঘোষণা দেয়। এরপর ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে ড. এ টি এম শামসুল হুদার কমিশন। পাশাপাশি ড. হুদা কমিশন প্রবাসীদেরও ভোটার করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। তারই অংশ হিসেবে তখন দুই নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বিদেশ সফর করেন। এরপর কেটে যায় আরও ১০ বছর। পরে গত বছর কে এম নূরুল হুদা কমিশন প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগটি পুনরায় সামনে আনে। তারই অংশ হিসেবে ওই বছরই একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে ইসি। এ ধারাবাহিকতায় এখন সিঙ্গাপুরে প্রবাসীদের ভোটার করার পাইলটিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইসি।

এইচএস/এসএমএম