• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০১৮, ০৪:৫৯ পিএম

সাতক্ষীরায় ইভিএম ব্যবহারে ভোটারদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

সাতক্ষীরায় ইভিএম ব্যবহারে ভোটারদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
প্রতিকী ছবি

 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা সদর-২ সংসদীয় আসনে সাধারণ ভোটারদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রার্থীদের মাঝেও ইভিএম নিয়ে কৌতূহল রয়েছে। তবে জেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সাতক্ষীরা-২ সদর আসনে ইভিএম ব্যবহারকে স্বাগতম জানিয়ে বলেছেন একে গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের বড় চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। 

নির্বাচনি কর্মকর্তারা স্থানীয় ভোটারদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে পারলে আধুনিক এই প্রযুক্তি টেকসই হতে পারে, তা নাহলে এ প্রকল্প বিকশিত হওয়ার আগেই মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। 

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা-২ আসন। এ আসনে ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৯ জন। বুথের সংখ্যা ৬৯৮টি।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে ইভিএম প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ১০টি সুবিধা পাওয়া যাবে। ভোট গ্রহণের আগে মেশিন চালু হবেনা, পাসওর্য়াড সুরক্ষিত থাকায় মেশিন ছিনতাই হলেও অবৈধ ভোটদান বন্ধ হয়ে যাবে, অনুমোদিত ব্যক্তির বাইরে মেশিন চালু করা সম্ভব হবেনা, ভোট শুরুর আগে ও পরে শূন্য ভোটিং ও প্রিন্টিং করার সুবিধা পাওয়া যাবে। এছাড়াও স্বয়ংক্রীয়ভাবে ফলাফল প্রিন্ট, ঘোষণা ও বিতরণ করার ব্যবস্থা এবং ভোট সম্পন্ন হওয়ার পর ভোটারের সন্তুষ্টির জন্য ধন্যবাদ শব্দ যুক্ত করা হয়েছে।

শহরের কাটিয়া, আমতলা,পলাশপোল, সুলতানপুরসহ একাধিক স্থানে সাধারণ ভোটারা জানান, সাতক্ষীরাবাসিকে ইভিএমের বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও ব্যাপক সচেতনতা করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনেক আগেই উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন ছিল। নতুন একটি মেশিন দিয়ে কি হবে, যদি ভোটাররা এটি ব্যবহার করতে না পারে তাহলে বরং ক্ষতিই হবে। নির্বাচন কমিশন ভোটের আগেই ভোটারদের পশিক্ষণ প্রদানসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলে তাদের ভোট দিতে সুবিধা হবে। 
তবে জেলায় ইভিএম নিয়ে তরুণ ভোটারদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। তারা ইভিএমকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আমরা ইভিএম মেশিনে ভোট দেয়ার অপেক্ষায় আছি। 

রিটানিং কর্মকর্তা জানান, নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশনা পেলে ইভিএম ব্যবহারে বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হবে। নির্বাচনি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও ভোটারদের মাঝে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

সংশ্লিষ্ঠ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও সংসদ সদস্য  মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, এ প্রযুক্তি নতুন হলেও সাতক্ষীরাবাসি এবার প্রথম ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দিবে। তিনি বলেন, সামরিক বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনি কর্মকর্তাদের এ সম্পর্কে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। এছাড়া ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হওয়ায় এই আসনটিতে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

সাতক্ষীরা জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মাঝে নানা কৌতূহল রয়েছে। এই প্রযুক্তি যদি আমরা যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারি তাহলে সাধারণ ভোটাররা ইভিএমের প্রতি আকৃষ্ট হবেন। এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা যে উন্নত বিশ্বের স্বপ্ন দেখছি প্রযুক্তি ব্যবহার বৃদ্ধি করে সেই স্বপ্ন একদিন বাস্তবায়িত হবে। এছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

সাইসে/জেডএস