নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। ইসি তার দায়িত্ব পালন করবে। শেষ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সোমবার (১৭ জুন) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে তিনি এসব কথা বলেন।

দু’টি উপজেলায় নির্বাচনি অনিয়ম হওয়ার ইসি কোনও উদ্বেগ করছে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর ওই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, সহিংসতার কারণে একজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। পরে তিনি হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আর অন্য একটি উপজেলায় অনিয়মের প্রমাণ মেলায় স্থানীয় প্রশাসনকে বদলি করা হয়েছে।

আলমগীর বলেন, নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন সকল প্রস্তুতি নিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায়গুলোয় অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। কাজেই আশা করি ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।

১৮ জুন ২০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। চারটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে)-জানান ইসি সচিব।

তিনি বলেন, গাজীপুর সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, নোয়াখালী সদর ও নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলায় ইভিএমে ভোট নেয়া হবে। 

পাঁচ ধাপে ভোটগ্রহণ করছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন গত ১০ মার্চ (রোববার) ভোট শুরু হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ (সোমবার), তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ (রোববার), চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ (রোববার) ভোটগ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ (রোববার) ছয়টি উপজেলায় এবং ২৪ মার্চ (রোববার) তৃতীয় ধাপেও চারটি উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ করে ইসি।

এইচএস/এসএমএম