• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০১৯, ১০:৫২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১২, ২০১৯, ১১:৩৮ এএম

ইভিএম ব্যবহার প্রশিক্ষণে শিক্ষার্থীদের সহায়তা নিতে চায় ইসি

ইভিএম ব্যবহার প্রশিক্ষণে শিক্ষার্থীদের সহায়তা নিতে চায় ইসি

সব স্তরের নির্বাচনেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে খানিকটা বিপাকেই পড়েছে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি। পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে ইভিএম ব্যবহার করে ভোট দেয়ার প্রক্রিয়াটি ভোটারদের শেখাতে হিমশিম খাচ্ছে ইসি। বর্তমানে এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে ব্যস্ত ইসি সচিবালয়। এরই অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ভোটারদের ইভিএমে ভোট দেয়া পদ্ধতি শেখানোর পরিকল্পনা করছে ইসি।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রতিটি নির্বাচনের আগেই যেখানে ইভিএম ব্যবহার করা হয়, সে এলাকার ভোটারদের মক ভোটিং বা ইভিএমে ভোটদান পদ্ধতি শেখানো হয়। কিন্তু এভাবে সব ভোটারকে উৎসাহিত করা যায় না। এজন্য একটি বিরাটসংখ্যক ভোটার জানতে পারেন না- কী করে এই ভোটযন্ত্রটি ব্যবহার করতে হয়। যার প্রভাব পড়ে ভোটের দিন। মক ভোটিংয়ে যারা অংশ না নেন, ভোট দিতে গিয়ে সেসব ভোটারদের সহায়তা করতে হয় সংশ্লিষ্ট ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার। এতে একজন ভোটারের ভোট শেষ করতে ব্যয় হয়ে হয়ে যায় দীর্ঘ সময়। ফলে নির্ধারিত সময়ের পরও ভোটারদের লাইন লেগে থাকে কেন্দ্রের বাইরে। এতে ভোটের ফলাফল প্রকাশ করতেও দেরি হয়। অথচ ইভিএম ব্যবহারের উদ্দেশ্যই হলো বাতিল ভোটের হার কমানো এবং দ্রুততার সঙ্গে ফলাফল প্রকাশ।

এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন মক ভোটের পাশপাশি ভোটারদের ইভিএমে ভোট দেয়ার বিষয়ে জ্ঞান দিতে দু’টি পন্থা বাস্তবায়নের কথা ভাবছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ সংক্রান্ত কমিটির এক সাম্প্রতিক বৈঠকে স্কুল শিক্ষার্থী ও প্রার্থীদের ব্যবহার করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে স্কুল শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে তাদের অভিভাবকদের এবং প্রার্থীদের মাধ্যমে ভোটারদের প্রশিক্ষণ দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে একটি কর্মশালা আয়োজনেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ইভিএম ব্যবহারের চেষ্টা হয় বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া নির্বাচন কমিশনের আমলে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের পর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে এই ইভিএম ব্যবহার করা হয়। পরে কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে কমিশন ২০১২ সালে কুমিল্লায় এবং ২০১৩ সালে পাঁচ সিটি নির্বাচনে কিছু কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করে। এই যন্ত্রটি তৈরি করেছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। কিন্তু সেই যন্ত্রে কিছু সমস্যা ছিল। তবে বর্তমান নির্বাচন কমিশন যে ইভিএম ব্যবহার করছে, তাতে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি।


এইচএস/এমএইউ/একেএস

আরও পড়ুন