• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯, ০৭:৩০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯, ০৭:৩০ পিএম

আওয়ামী লীগের ব্যর্থতার কারণেই বিএনপির জন্ম : ফখরুল 

আওয়ামী লীগের ব্যর্থতার কারণেই বিএনপির জন্ম : ফখরুল 
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব- ছবি: জাগরণ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের ব্যর্থতার কারণেই বিএনপির জন্ম হয়েছিলো।বিএনপির জন্ম এমন একটি রাজনৈতিক শুন্যতায়, যে শুন্যতাও সৃষ্টি করেছিল আওয়ামী লীগ। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ শহীদ জিয়ার আহ্বানে সারা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। যার মূল চেতনা ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।

রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, অন্যায় নির্যাতন নিপীড়ন করে কেউ কোনোদিন টিকে থাকতে পারে না। মানবসভ্যতার ইতিহাসে কেউ টিকে থাকতে পারেনি। না নমরুদ-ফেরাউন পেরেছে, না হিটলার-মুসোলিনী পেরেছে। না আইউব খান-এরশাদ পেরেছে। আওয়ামী লীগও টিকতে পারবে না। বাংলাদেশের জনগণ চিরকাল লড়াই-সংগ্রাম করে তাদের অধিকার আদায় করে নিয়েছে। আজকেও তারা লড়াই সংগ্রাম করে তাদের অধিকার আদায় করে নেবে।
 
তিনি বলেন, তারা (সরকার) ইতোমধ্যে বলতে শুরু করেছে আমরা নাকি রোহিঙ্গাদের যেতে বাধা দিচ্ছি। অথচ জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে রোহিঙ্গাদের অতি অল্প সময়ে ফেরাতে সক্ষম হয়েছিলেন। এই সরকার দুইবার চেষ্টা করে একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরাতে পারেনি। অথচ তারা বলে, চীনের সঙ্গে তাদের নাকি সম্পর্ক সুউচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। ভারতের সঙ্গে নাকি তার চেয়েও বেশি ! তাহলে কি হলো, আজকে কি অবস্থান নিয়েছে, চীন কি অবস্থান নিয়েছে ?  আজকে মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে পাঠানো সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কিন্তু এই সরকার সবদিক থেকে ব্যর্থ হয়ে গেছে। সেজন্যই আজকে বিএনপির প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি।
 
ফখরুল বলেন, গতকালও আমি খবর নিয়েছি দেশনেত্রী অত্যন্ত অসুস্থ। তিনি এখন হাটতে পারেন না। তার সুগার কমছে না। এ অবস্থায়ও তিনি মাথা নত করেননি। তিনি বার বার একই কথা বলছেন, এই অন্যায়ের বিচার হবে। অন্যায়কারীরা টিকবে না। জনগণ নিশ্চয়ই উঠে দাঁড়াবে, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবে।
 
দলের মধ্যে ঐক্য তৈরির পাশাপাশি  জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে দুঃখ  ও কষ্ট হয়, যে দাবি আওয়ামী লীগের ছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন,  সেই দাবির সঙ্গে জনগণের সঙ্গে সম্পূর্ণ প্রতারণা করে ২০১২ সালে তাদের সুবিধামতো সংবিধান পরিবর্তন করে নিয়েছে। কারণ তারা জানে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা কোনো দিনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না। 
তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, যে নির্বাচন আপনারা চুরি করে নিয়ে গেছেন সেই নির্বাচন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। নির্বাচন বাতিল করে একটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আসুন এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে আমরা শপথ নেই, আমরা বিএনপিকে সুসংগঠিত করবো। আমাদের দল ইতোমধ্যে সুসংগঠিত হতে শুরু করেছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার অসাধারণ দক্ষতা দিয়ে ইতোমধ্যে দলকে সংগঠিত করতে শুরু করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের দল সম্পূর্ণভাবে সংগঠিত হবে। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে আমরা অবশ্যই এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো। আসুন আজকে শপথ নেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে তবেই আমরা ঘরে ফিরে যাব। 
 
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মো. ইসহাক,  জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মাওলানা নূর হোসাইন কাসিমী, ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতি মাওলানা আব্দুর রকিব, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ প্রমুখ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন। 

টিএস/বিএস 
 

আরও পড়ুন