• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৯, ০৮:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৯, ০৮:০৯ পিএম

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির নির্বাচন

সময় নির্ধারণে ইসির সামনে ৩ বাধা

সময় নির্ধারণে ইসির সামনে ৩ বাধা

বি শে ষ প্র তি বে দ ন

............................

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে প্রস্তুতির শুরুতেই ইসি পড়েছে অম্ল-মধুর সমস্যায়। শুরু দিকে ডিসেম্বরের মধ্যেই ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোলেও ‘টেকনিক্যাল’ কিছু সমস্যায় এখন পরিকল্পনা থেকে সরে আসছে ইসি।

ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিন (অর্থাৎ ৬ মাস) আগে যে কোনও সময় সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনে ভোট আয়োজন করতে পারে ইসি। এ হিসেবে আগামী ১৩ ও ১৬ ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১৩ ও ১৬ মের মধ্যে ইসিকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ভোট করতে হবে। কারণ, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ভোট হয়েছিলো। এরপর ঢাকা উত্তর সিটিতে প্রথম সভা হয় ওই বছর ১৪ মে, দক্ষিণ সিটিতে ১৭ মে। এ হিসেবে ঢাকা উত্তরের ক্ষেত্রে ৫ বছরের মেয়াদ পূর্ণ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে ও দক্ষিণে ১৬ মে। এ হিসেবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ডিসেম্বরে ভোট আয়োজন প্রায় অসম্ভব।

ইসির নির্বাচন শাখা জানায়, সাধারণভাবে যে কোনও নির্বাচন আয়োজন করতে তফসিল ঘোষণা থেকে ৩৫-৪০ দিনের একটি সময় নিয়ে থাকে ইসি। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির নির্বাচন ডিসেম্বরেই আয়োজন করতে হলে ইসিকে ৩৫-৪০ দিন আগে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। এক্ষেত্রে নির্বাচনকালীন আগেই ইসিকে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। যা আইন ও রীতি-বিরুদ্ধ হবে বলেই সংশ্লিষ্টদের মত।

নির্বাচনকালীন একেবারে প্রথম দিকে তফসিল ঘোষণা করতে গেলেও ডিসেম্বরে এ নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয়। কারণ, তফসিল ঘোষণা থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত যে ৩৫-৪০ দিনের যে ব্যবধান প্রয়োজন তা মেলে না। এক্ষেত্রে ইসিকে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করতে হয় জানুয়ারিতে। যা আইনগতভাবে মোটেই সম্ভব নয়। কারণ আইনি বিধান মেনে ইসিকে জানুয়ারির ১ তারিখে নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হয়, যা চূড়ান্ত হয় ৩১ জানুয়ারি। ফলে এ সময়ে ভোট করতে গেলে নতুন ভোটারদের ভোট দেয়া না দেয়ার প্রশ্নে আইনি জটিলতার আশঙ্কা থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারিতে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করার কথা ভাবতে পারতো ইসি। তবে এ মাসেও ইসির সামনে আরেক বাধা। সেটা হচ্ছে ফেব্রুয়ারির শুরুতেই রয়েছে এসএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে ইসি সাধারণভাবে ‘পাবলিক পরীক্ষা’র সময় ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে না। এখানেই শেষ নয়- আগামী বছর ১৭ মার্চ থেকে বছরব্যাপী পালিত হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঘোষিত ‘মুজিববর্ষ’। ‘মুজিববর্ষ’ পালনের সুবিধার্থে মধ্য-মার্চের (১৭ মার্চ) আগে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন সম্পন্ন করার পন্থা খুঁজছে ইসি।

নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর দৈনিক জাগরণকে বলেন, যে সব সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষের দিকে সেগুলোর বিষয়ে আমরা এরই মধ্যে সার্বিক তথ্য সংগ্রহ করেছি। প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে শিগগিরই কমিশন বসবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত পেলে আমরা তা বাস্তবায়ন করব।

ঢাকাবাসীর সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর ঢাকা সিটি করপোরেশনকে উত্তর-দক্ষিণ দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এর প্রায় ৪ বছর পর দুই সিটিতে নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই মেয়র আনিসুল হক ও সাঈদ খোকন বিজয়ী হয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আনিসুল হক। এর ফলে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটির উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে বিজয়ী হন ব্যবসায়ী নেতা আতিকুল ইসলাম।

এইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন