বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের অধিকার আমাদেরই ছিনিয়ে আনতে হবে, কেউ আমাদের অধিকার দিয়ে যাবে না।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই’ শীর্ষক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণকে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য তাদেরই দাঁড়াতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তাই গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য দাঁড়াতে হবে। সবকিছু নিয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে। রাজপথে তার প্রতিবাদ করতে হবে। আমাদের অধিকার আমাদেরই ছিনিয়ে আনতে হবে। কেউ আমাদের অধিকার দিয়ে যাবে না।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে টেন্ডারের কমিশন কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন ভাইস চ্যান্সেলরের নামও চলে এসেছে। উনি না কি এরই মধ্যে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা দিয়ে দিয়েছেন। তাহলে শুধু ছাত্র কেনো? ভাইস চ্যান্সেলরের কি হবে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও ডিন রাতের বেলায় ছাত্র ভর্তি করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, চেষ্টা করেও আজ দুর্নীতি আর থামিয়ে রাখা যাচ্ছে না। থলের বিড়ালের মতো দুর্নীতি বের হয়ে আসছে। গতকাল (রোববার) পুলিশ কমিশনার নতুন জয়েন্ট করেছেন উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি ভালো ভালো কথা বলেছেন। একটা কথা বলেছেন, যদি কোন ওসি কাজ না করে এবং সেবার বিনিময়ে অর্থ চান তাহলে আমাদের জানাবেন। আমরা সেখানে গিয়ে বসবো। আমরা তার এ বক্তব্যকে সাধুবাদ জানাই।

আসামের নাগরিকপঞ্জির বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘আসামের মন্ত্রী বলেছেন, এখানে যারা আছে, সবাইকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, আমরা ভারত সরকারকে বিশ্বাস করতে চাই। ধিক এই নতজানু সরকারের পররাষ্ট্রনীতিকে, ধিক এই গণতন্ত্রহরণকারী সরকারকে। রাজনীতিবিদরা এখন আর রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন না, রাষ্ট্রই এখন রাজনীতিবিদদের পরিচালনা করছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের সঙ্গে সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই। তারা জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিছিন্ন। এ কারণে নির্বাচনের আগে রাতে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হয়।

টিএস/এসএমএম