• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ১০:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ১০:০৯ পিএম

রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে আসছে ‘ওটিপি

রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে আসছে ‘ওটিপি

জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডারের (সার্ভার) সুরক্ষায় ‘ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড’ (ওটিপি) পদ্ধতি চালু করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে ওটিপি ছাড়া ইসির কোনও কর্মকর্তা বা কর্মচারী ভোটার তথ্যভাণ্ডারে ঢুকতে পারবেন না। থানা নির্বাচন অফিসার এটি নিয়ন্ত্রণ করবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক সাইদুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ওটিপি চালু হলে উপজেলা অফিসে কর্মচারিরা চাইলে সার্ভারে ঢুকতে পারবে না। প্রতিবার সার্ভারে ঢোকার সময় থানা নির্বাচন অফিসার জানতে পারবেন কখন কোন টাইমে সার্ভারে ঢোকা হচ্ছে।

সাইদুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গাদের ভোটার করা ঠেকাতে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। অপরাধী যে পদেরই হোক তার বিরদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি।

জানা গেছে, সমম্প্রতি চট্টগ্রামের খসড়া ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা ভোটার শনাক্ত হওয়ার পর দেশব্যাপী সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ইসি এই পদ্ধতি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।

ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে ডাটা এন্ট্রি অপারেট, প্রুফ রিডার বা উপজেলা/থানার কোনও কর্মকর্তা সার্ভারে ঢুকতে চাইলে তাকে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে হবে। ফিঙ্গার প্রিন্ট অনুমোদিত হলে তাকে পাসওয়ার্ড দিতে হবে। পাসওয়ার্ড অনুমোদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তার ই-মেইল অথবা মোবাইল ফোনে ওটিপি যাবে। সেই ওটিপি তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মী বা কর্মকর্তা দিলে তবেই ওই ব্যক্তি সার্ভারে ঢুকতে পারবেন। আগে শুধু পাসওয়ার্ড দিয়ে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর বা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সার্ভারে ঢুকতেন।

অভিযোগ রয়েছে, অপারেটরদের অনেকে অন্য অপারেটরের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে জালিয়াতির কাজ করেছেন। এমনকি কর্মকর্তাদের অনেকে নিজের পাসওয়ার্ড অফিস সহকারী ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের দিয়ে রাখতেন। ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা ভোটার শনাক্ত হওয়ার পর এ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে মাঠকর্মীদের পুরনো পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নতুন পাসওয়ার্ড দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহারের নিয়ম চালু করা হয়। এ সব বিষযে সাইদুল ইসলাম বলেন, আশা করা যায় ওটিপি ব্যবহার করা হলে জালিয়াতি অনেকাংশেই রোধ হবে। কারণ এখন থেকে কোনও অপারেটর বা কর্মচারী সার্ভারে ঢুকতে চাইলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তা জানতে পারবেন। তা ছাড়া জালিয়াতি ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট মাঠকর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হবে।

ইসি সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী বুধবার পর্যন্ত চট্টগ্রামের খসড়া ভোটার তালিকায় ৬১ জন রোহিঙ্গা চিহ্নিত হয়েছে। যাচাই করতে গিয়ে দেখা গেছে, এদের ভোটার তথ্য ফরমের একটি পাতা স্ক্যান করে সার্ভারে আপলোড করা হয়েছে। অন্য পাতাটি আপলোড করা হয় নি।

ইসির কর্মকর্তাদের ধারণা, চূড়ান্ত খসড়া তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে নেয়া রোহিঙ্গাদের সার্ভারে ঢোকানো হলে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। ইসির ল্যাপটপ হারানোর বিষয়ে সাইদুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে যে অফিসিয়াল তথ্য রয়েছে সেখানে ৪টি ল্যাপটপ হারিয়ে গেছে। এটার জন্য মামলাও করা হয়েছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা নিয়ে গত কয়েকদিন যেসব ঘটনা ঘটেছে সেটি তদন্ত করার জন্য ২টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি। আশা করি আমরা কয়েক মাসের মধ্যে সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবো।

এইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন