• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯, ০৩:৩৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯, ০৩:৩৩ পিএম

রোহিঙ্গাদের ভোটার করার অভিযোগে আটক ৪ 

রোহিঙ্গাদের ভোটার করার অভিযোগে আটক ৪ 
ছবি: প্রতীকী

রোহিঙ্গাদের ভোটার করার অভিযোগে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানা নির্বাচন অফিসে কর্মরত চারজনকে আটক করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। 

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের আটক করা হয়। আটকরা সবাই ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে আউটসোর্সিংয়ে কাজ করতেন। 

তারা হলেন- চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার শাহিন ও ফাহমিদা, ডবলমুরিং থানার পাভেল এবং বন্দর থানার জাহিদ। 

এর আগে চট্টগ্রামের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসেইন খান সাংবাদিকদের বলেন, ওই চারজন জেলা নির্বাচন অফিসে অস্থায়ী নিয়োগে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। জানা যায়, রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দেয়ার ঘটনায় গ্রেফতার নির্বাচন কমিশনের অফিস সহায়ক জয়নাল ও অস্থায়ী কর্মচারী মোস্তফা ফারুক নানান তথ্য দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। এর বাইরে দুর্নীতি দমন কমিশন ও খোদ নির্বাচন কমিশনের তদন্তেও উঠে এসেছে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতিতে কমিশনের ২০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংশ্লিষ্টতা।এই ২০ জনের মধ্যে জড়িত আছেন অন্তত দুইজন উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) উইংয়ের তিনজন টেকনিক্যাল এক্সপার্ট। চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে লাকি আক্তার নামে এক রোহিঙ্গা নারীর কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাওয়ার ঘটনায় চলতি মাসের ১১ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার থেকে তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন। টানা পাঁচ দিনের সেই অভিযানে রোহিঙ্গা দালালসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিন (৩৫), তার সহযোগী বিজয় দাস (২৬)ও তার বোন সুমাইয়া (২৪) ওরফে সীমা দাসকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে সুমাইয়ার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নির্বাচন কমিশনের একটি খোঁয়া যাওয়া ল্যাপটপ (আইপি নম্বর ৪৩৯১)। 

এনআইডির ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাইদুল ইসলাম বলেছেন, বিভিন্ন মাধ্যমে রোহিঙ্গা নাগরিকরা ভোটার হওয়ার চেষ্টা করলেও তারা ভোটার হতে পারেনি। বাংলাদেশে আসা ১১লাখ ২২ হাজার রোহিঙ্গার আঙ্গুলের ছাপ ও তথ্য নিয়ে রোহিঙ্গা সার্ভার প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন কেউ চাইলেই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারবে না। ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০০৭-২০০৮ সালে ব্যবহৃত কিছু অকেজো ল্যাপটপ নিলামে বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল। ওই সময় আরও অন্তত পাঁচটি ল্যাপটপ হারিয়ে যায়। যার দুটি জালিয়াত চক্রের হাতে পড়ে বলে তদন্ত দলের সন্দেহ। 

এইচএস/বিএস