• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯, ০৭:২০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯, ০৭:২০ পিএম

নির্বাচন কর্মকর্তার বরখাস্ত চেয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর চিঠি

নির্বাচন কর্মকর্তার বরখাস্ত চেয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর চিঠি

ঢাকার অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমেদকে বরখাস্ত করার আবেদন করেছেন আওয়ামী লীগের এক নেত্রী। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর এমন আবেদন করেছেন ঢাকার অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীর তথ্য গোপন করে তাকে বিয়ে করা ও বিয়ের পরও একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার অভিযোগ তুলে বশির আহমেদের বরখাস্ত চেয়েছেন তিনি।

আবেদনে তিনি লেখেন, ঢাকার অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমেদ আমার স্বামী। তার সঙ্গে ইসলামী শরিয়ার বিধান মতে ও রেজিস্ট্রি কাবিননামা মূলে গত ২০১৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিবাহ হয়। এর আগে একই বছরের শুরুতে তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তখন তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানের তথ্য গোপন করে নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে আমার সঙ্গে ভাল মানুষের অভিনয় করে চলেন। একপর্যায়ে আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে বিবাহ করেন। বিয়ের পর আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার সুবাদে আমাকে দিয়ে তদবির করিয়ে বিভিন্ন সুবিধা নেয়।

তিনি লিখেছেন, ঢাকার অতিরুক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো বশির আহমেদ ছাত্রদল নেতা ছিলেন। গত বিএনপি জোট সরকারের আমলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের তৎকালীন এমপি ও প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুনীতির কারণে চাকরি হারান তিনি। এছাড়া, বিয়ের পর তার প্রথম স্ত্রী ইসরাত জাহান ইভা ও ২ কন্যা সন্তান থাকার বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি আমাকে অমানবিকভাবে মারধর করেন। পরে তার মোবাইল সেট থেকে দেখতে পাই তার অনেক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। সরকারি চাকরিতে সুবিধা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তিনি বহু নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে আমাকে প্রচণ্ড মারধর করে এবং ডির্ভোসের হুমকি দেয়। 

আবেদনে লেখা হয়েছে, বাড়ি বিক্রি করে বিশ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করলে বাধ্য হয়ে ২০১৮ সালের ২ আগস্ট নারায়নগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে সি.আর ৯০৫/১৮ যৌতুক বিরোধ আইনের ৪ ধারায় মো. বশির আহমেদ এর বিরুদ্ধে মামলা করি। ওই মামলায় ১৮ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মো. বশির আহমেদ এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু হলে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে পরবর্তীতে আদালতে আপস-মীমাংসার হলফনামা দিয়ে জামিনপ্রাপ্ত হয়ে আমার সঙ্গে আপস না করে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দেন। বিবাদীর অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রতীয়মান হওয়ায় আদালত গত ২১.০৮.১৯ তারিখে তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে।

আরো বলা হয়েছে, মো. বশির আহমেদ একজন সাধারণ নিম্নবিত্তের পরিবারের সন্তান হয়েও ঢাকার অতিরিক্ত আঞ্চালিক নির্বাচন কর্মকর্তা হয়ে নির্বাচনে পেশাগত বিভিন্ন প্রকার দুর্নীতি ও অনিয়ম করে প্রথম স্ত্রী ইসরাত জাহান ইভার নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ করেছেন। পল্টনের পীর সাহেব গলিতে হেরিটেজ খন্দকার প্যালেসে দেড় কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট, শাশুড়ী শামীম আরার নামে ত্রিশ লাখ টাকার গাড়ি, নারায়ণগঞ্জ পাইনাদীর নতুন মহল্লার ১ নম্বর সড়কে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে বহুতল ভবন গড়া ছাড়াও তার প্রথম স্ত্রীর নামে কয়েক কোটি টাকার জমি ক্রয় করেছেন। 

জানতে চাইলে অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো বশির আহমেদ বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনে কাজ করি। আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আসতেই পারে। উত্থাপিত আভিযোগগুলো সব ভুয়া।

এইচএস/ এফসি

আরও পড়ুন