• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০১৯, ০৬:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৫, ২০১৯, ০৬:২৩ পিএম

রংপুর-৩ উপ-নির্বাচনের দিনে মাছ ধরে সময় কাটালেন সিইসি

রংপুর-৩ উপ-নির্বাচনের দিনে মাছ ধরে সময় কাটালেন সিইসি
প্রথম টোপেই মাছ তুলে আনেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা -ছবি : জাগরণ

অতীত অভিজ্ঞতা থেকে নির্বাচন কমিশন ও ইসি সচিবালয় জানে বেশিরভাগ উপ-নির্বাচনেই ভোটার উপস্থিতি থাকে কম। আর এ কারণেই ভোটের দিনের উত্তাপও থাকে না তেমন। রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন নিয়েও ইসির মধ্যে ছিল না তেমন কোনও সাজ সাজ রব। 

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় উত্তাপহীন ভোটই হবে রংপুর-৩ আসনে— এমনটা ধরে নিয়েই নির্বাচনি পরিবেশ শান্ত, সুষ্ঠু করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল ইসি। ফলে বাস্তবিক অর্থেই রংপুর-৩ এর উপ-নির্বাচনের পরিবেশ ছিল সুষ্ঠু-অবাধ। আর তাই হয়তো ভোটের ৮ ঘণ্টার সময়টুকুর বেশিটাই নির্বাচন ভবনের লেকে মাছ শিকার করে কাটিয়ে দিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাসহ অন্যান্য কর্মকর্তার। 

সরজমিন দেখা যায়, দুপুরের পর থেকেই কর্মচারীরা লেক চত্বর সাজাতে থাকেন। সেখানে আসে সোফা, চেয়ার ইত্যাদি। একটু পরই আনা হয় ছয়টি বরশি। ময়দার গুঁটি বানিয়ে তৈরি করা মাছের টোপ। বেলা সোয়া তিনটার দিকে লেক পাড়ে আসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব মো. আলমগীর, অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান।

অল্পসময়ের মধ্যেই সিইসিসহ অন্যরা শুরু করেন মাছ শিকার। লেকে বড়শি ফেলে প্রথম টোপেই মাছ তুলে আনেন সিইসি। অন্যরা যখন একটা মাছও শিকার করতে পারে নি তখন সিইসি একাই একে একে শিকার করেন তিনটি মাছ। অবশ্য সিইসির তিন মাছ শিকারের ফাঁকে একটি করে মাছ শিকার করতে সমর্থ হন নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন ও ইসি সচিব মো. আলমগীর।

জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এই লেক থেকেই মাছ তুলে বারবিকিউ পার্টি করেছিল নির্বাচন কমিশন। এরপর আরও তিনদিন এখান থেকে মাছ শিকার করা হয়েছে।

এইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন