• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০১৯, ০৩:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৫, ২০১৯, ০৬:৩১ পিএম

ঢাকা মহানগর সম্মেলন প্রস্তুতির নির্দেশ কাদেরের

‘এবারের সিটি নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে’

‘এবারের সিটি নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় - ছবি : জাগরণ

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সম্মেলনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় এ কথা বলেন তিনি। 

সভায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে। প্রতিপক্ষ আটঘাট বেঁধে নির্বাচনে নামবে। তারা ঐক্যবদ্ধ হলে অনেক শক্তি আছে তাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের জাতীয় কাউন্সিল আসছে। আওয়ামী লীগ একটা নবীন প্রবীণের সমন্বয়ে একটা সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত দল। আওয়ামী লীগের সম্মেলন মানেই কিছু নতুন মুখ আসবে। পুরনোদের কারও কারও দায়িত্বে পরিবর্তন আসতে পারে। এখানে বয়স অনুযায়ী যেমন কাজ করতে সমর্থ সেভাবেই সাজানো হয়। এখানে অভিজ্ঞতাও দরকার, সঙ্গে শক্তিরও দরকার। অভিজ্ঞতাও থাকবে সঙ্গে শক্তিও সঞ্চার করতে হবে।

তিনি বলেন, নিয়মিত সম্মেলনের মাধ্যমে দলে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে নেতৃত্বের মধ্যে নবজাগরণ তৈরি হয়, নেতৃত্বে বলিষ্ঠতা আসে এবং সেটা দলের জন্য খুবই প্রয়োজন। আমাদের ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, আপনারা সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে থাকুন। নেত্রীর সঙ্গে আলাপ করে তারিখ আমরা আপনাদের জানিয়ে দিব।

এবারের সিটি নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে : 
সভায় সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিপক্ষকে দুর্বল মনে করবেন না। প্রতিপক্ষ আর কিছু না পারুক ষড়যন্ত্রে ওস্তাদ, বিএনপি ষড়যন্ত্রে ওস্তাদ। আপনারা থানায়-থানায় ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে কর্মিসভা করেন। সরকারের বিরুদ্ধে অপ্রচারের জবাব দিতে হবে। মাঝে মাঝে আমাদের জোটের মধ্য থেকেও কেউ কেউ উল্টাপাল্টা কথা বলছেন। আমি বলতে চাই সরকারের অস্তিত্ব কেউ দুর্বল ভাববেন না।
 
শুদ্ধি অভিযান বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, হাওয়া ভবনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সব অপকর্ম হয়েছিল। একজন অপরাধীকেও তখন বিচারের আওতায় আনা হয়নি। এখন আমরা সাংগঠনিকভাবেও ব্যবস্থা নিচ্ছি, প্রশাসনিক ভাবেও ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা, এখন অপকর্মকারীকে আইনের আওতায় আনছি। দুর্নীতি দমন কমিশনকে ‘ফ্রি হ্যান্ড’ দেয়া হয়েছে। বিএনপি আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন সরকারের লোকজনের দুর্নীতির বিষয়ে নির্বিকার ছিল। তখন সরকারি দলের লোকজন, অপকর্মকারী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। তাদের কারো কোনো প্রকার শাস্তির সম্মুখীন হতে হতো না।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগর সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব, আপনারা একটা উদাহরণ কি দেখাতে পারবেন- কোনো অপরাধীকে শাস্তি দিয়েছেন? শেখ হাসিনার সৎসাহস আছে, সংশোধন করার সৎসাহস শেখ হাসিনার আছে। আমার দলের কোনো নেতাকর্মী ভুল করলে অপকর্ম করলে শাস্তি তাকে পেতেই হবে। এটা বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

নুসরাত হত্যার রায়ের প্রশংসা করতে বিএনপি কুণ্ঠিত দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সময়ে দলের লোকজন থাকলে মামলা করতেই পারত না। আর সোনাগাজীর নুসরাতের ঘটনায় আমাদের দলের লোকজনও আছে এবং তাদেরও ফাঁসি হয়েছে। পুলিশের কী হলো- এ নিয়ে মির্জা ফখরুল আবোল-তাবোল বকছেন, কিন্তু এত দ্রুত একটা মামলার বিচার কাজ শেষ হয়েছে, ১৬ জনের ১৬ জনেকেই ফাঁসির রায় হয়েছে, বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে- এর প্রশংসাটা বিএনপি করতে কুণ্ঠিত। বিএনপি এই প্রশংসা করতে জানে না।

তিনি বলেন, আজকে এই শুদ্ধি অভিযানকে যদি বিএনপি স্বাগত জানাত, তাহলে বুঝতাম, তাদের ইতিবাচক রাজনীতির প্রতি আস্থা আছে। সব কিছু নেতিবাচক চোখে দেখা বিএনপির চরিত্র। সব কিছুতেই তারা সরকারের সমালোচনা ছাড়া আর কিছুই দেখে না।

ওয়ার্ডের মাস্তানরাই অনুপ্রবেশকারী জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, উন্নয়নের সঙ্গে আচরণ যদি ভালো না হয়, এই উন্নয়নের কোনো দাম নেই। একটি ওয়ার্ডে সব উন্নয়ন হয়েছে, সেখানে দুএকজন মাস্তানের জন্য মানুষ কষ্ট পায়, দুএকজন মাস্তান দলীয় পরিচয়ে মাস্তানি করে, এরাই অনুপ্রবেশকারী। এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

কাদের বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। এখন বিতর্কিত লোক এনে যদি পকেট ভারী করেন, দল ভারী করেন। দলের দুঃসময়ে হাজার পাওয়ারের বাতি দিয়েও তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমি আপনাদের অনুরোধ করব- বিতর্কিত লোকদের নিয়ে দল করবেন না।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ও আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। 

এএইচএস/ এফসি

আরও পড়ুন