প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ভোটার হওয়ার যোগ্য প্রায় ৯০ লাখ বাংলাদেশি নাগরিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আয়োজিত প্রবাসীদের ভোটার করার প্রক্রিয়া উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। 

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভোটারতালিকার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর। উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। এসময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ মালয়েশিয়ায় অবস্থান করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। প্রথমে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসী ভোটাররা এই সুযোগ পাবেন। অনলাইনের মাধ্যমে তারা ভোটার হতে পারবেন।

সিইসি বলেন, প্রায় ৯০ লাখ বাংলাদেশি ভোটারযোগ্য নাগরিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী জীবন যাপন করে। তাদের অধিকাংশের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। ফলে তারা ভোটারতালিকায় নিবন্ধিত হতে পারেনি। 

তিনি বলেন, ভোটারতালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য কোনো দালালের কাছে যাওয়ার দরকার নেই। আপনারা নিজেরাই কারো সহযোগিতা নিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে এটি পূরণ করতে পারবেন।

ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, প্রবাসী বাংলাদেশিরা একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন করতে পারবেন। ওয়েবসাইটটির ঠিকানা : services.nidw.gov.bd আবেদনের পর সেই সব আবেদন সঠিক কি না, ইসি তা কেন্দ্রীয়ভাবে যাচাই করবে। যাচাই-বাছাই শেষে ইসির কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট দেশে গিয়ে যোগ্য ও সঠিক আবেদনকারীদের ছবি তোলাসহ ফিঙ্গার প্রিন্ট ও চোখের মনির ছাপ (আইরিশ) গ্রহণ করবে। প্রবাসীদের ফরম পূরণের ক্ষেত্রে আটটি তথ্য দিতে হবে। সেগুলো হলো— পিতা ও মাতার নাম ইংরেজি ও বাংলায়, বসবাসরত দেশের নাম, জিপ কোড, বাসা ও হোল্ডিং নম্বর, স্টেট বা প্রদেশ, ফোন নম্বর, শনাক্তকারী ব্যক্তির নাম প্রভৃতি। এছাড়া পাসপোর্ট নম্বরও উল্লেখ করতে হবে।

মালয়েশিয়া ছাড়াও যুক্তরাজ্য, দুবাই ও সৌদি আরবের প্রবাসীরা এই সুযোগ পাবেন। পরে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও এই সুযোগ পাবেন। এজন্য ভোটারতালিকা বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হয়েছে।

এইচএস/ এফসি