• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০১৯, ০৭:৩১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৩০, ২০১৯, ০৮:১৬ পিএম

ডিআরইউ নির্বাচন ২০২০

সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী

সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী
সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী (ডানে)

পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) আগামী এক বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন রফিকুল ইসলাম আজাদ এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন রিয়াজ চৌধুরী।

২০২০ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যনির্বাহী পরিষদের মোট ২১টি পদে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে কার্যনির্বাহী কমিটির এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ১৬৩৫ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ১৩২৯ জন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব পালন করেন মনজুরুল আহসান বুলবুল, এমএ আজিজ, এম শাজাহান মিয়া এবং আবু তাহের। নির্বাচনি কাজে কমিশনকে সহায়তা করেন আমানুর রহমান ও উত্তম চক্রবর্তী।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় এবারও অর্থ সম্পাদক পদে জিয়াউল হক সবুজ ও আপ্যায়ন সম্পাদক এইচএম আকতার নির্বাচিত হয়েছেন।

নারী বিষয়ক সম্পাদক রীতা নাহার ও কল্যাণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনে সভাপতির পদে বৈধ প্রার্থী ছিলেন রফিকুল ইসলাম আজাদ, রাজু আহমেদ, শাহনেওয়াজ দুলাল, শামসুল হক বসুনিয়া এবং শরিফুল ইসলাম (বিলু)।

৫৫০ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন রফিকুল ইসলাম আজাদ। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শাহনেওয়াজ দুলাল পেয়েছেন ৪৮৯ ভোট। রাজু আহমেদ পেয়েছেন ১৯৩ ভোট, শরিফুল ইসলাম (বিলু) ৭৫ এবং শামসুল হক বসুনিয়া পেয়েছেন ৩ ভোট। পেয়েছেন।

সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নূরুল ইসলাম হাসিব, রিয়াজ চৌধুরী ও শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন (শেখ জামাল)। ৫৬৭ ভোটে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে রিয়াজ চৌধুরী। তার থেকে মাত্র দুই ভোট কম ৫৬৫ পেয়েছেন নূরুল ইসলাম হাসিব। আরেক প্রার্থী শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন (শেখ জামাল) পেয়েছেন ১৮৩ ভোট।

সহ-সভাপতির পদে ৪৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নজরুল কবীর। এ পদের অপর দুই প্রার্থী রাশেদুল হক ৪৪১ এবং ওসমান গনি বাবুল ৩৩৯ ভোট পেয়েছেন।

যুগ্ম সম্পাদক পদে হেলিমুল আলম বিপ্লব সর্বোচ্চ ৮৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এ পদের অপর প্রার্থী মেহদী আজাদ মাসুম পেয়েছেন ৪৩০ ভোট।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন হাবীবুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৬৪৮ ভোট। অপর প্রার্থী মাইনুল হাসান সোহেল পেয়েছেন ৬২৬ ভোট।

দফতর সম্পাদক পদে জাফর ইকবাল ৬৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এ পদের অপর প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না পেয়েছেন ৫৯৮ ভোট।

প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মাইদুল রহমান রুবেল। তিনি পেয়েছেন ৬৪৩ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বি আবদুল হাই তুহিন পেয়েছেন ৫৬৮ ভোট।

তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন সুমন। তিনি পেয়েছেন ৬৯৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বি জান্নাতুল ফেরদৌসী মানু পেয়েছেন ৫৬৯ ভোট।

ক্রীড়া সম্পাদক পদে ৭০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মজিবুর রহমান। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মাকসুদা লিসা পেয়েছেন ৫৭৩ ভোট।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ৬৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মিজান চৌধুরী। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী এমদাদুল হক খান পেয়েছেন ৫১৩ ভোট।

কার্যনির্বাহী সদস্যের সাতটি পদে মোট ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে মঈনুল আহসান ৭৬২, এস এম মিজান ৭৫৯, আহমেদ মুশফিকা নাজনীন ৭২৫, কামরুজ্জামান বাবলু ৬৯৯, ইমরান হাসান মজুমদার ৫৯৫, এম মুরাদ হোসেন ৫৬১ এবং সায়ীদ আবদুল মালিক ৪৯১ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

টিএইচ/এসএমএম