বর্তমান সরকারকে পরাজিত করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছে মন্তব্য করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি, এই আন্দোলনে আমরা সফল হব। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি একটি ‘এম্পটি ভেসেল’ এর মধ্যে পড়ে গেছে। ওরা বাইরে থেকে ঢোল বাজায় উন্নয়ন উন্নয়ন, কিন্তু ভেতর একদম ফাঁকা। এই রাষ্ট্রকে পরিপূর্ণভাবে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আওয়ামী লীগ চূড়ান্ত করে ফেলেছে।  

শনিবার (৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবির মুরাদের স্মরণে জিয়া পরিষদ আয়োজিত নাগরিক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জিয়া পরিষদের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম সলিমুল্লাহ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

মির্জা ফখরুল বলেন, অনেকেই প্রশ্ন করছেন বিগত নির্বাচনে এই অবস্থার পরেও আপনারা সিটি নির্বাচনে গেছেন কেন? আমরা বলেছি, নির্বাচনকে আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছি। আমরা একটি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি হিসেবে এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে যেতে চাই। আমাদের নির্বাচনে যেতে হবে ও নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা জনগণের কাছে যাব। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, নাইকো দুর্নীতি মামলার মূল মামলা যেটা আন্তর্জাতিক আদালতে হয়েছে তা গোপন করে সরকার এ মামলা করেছে। এ মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতে অলরেডি রায় হয়েছে। এই মামলায় বলা হয়েছে কোনো ধরনের কোনো রকম দুর্নীতি হয়নি এবং বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্যায়ভাবে যাদেরকে এ মামলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল তারা সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমি অনুরোধ করব এই বিষয়টা সবাই একটু জানার চেষ্টা করবেন। আমি ছোট্ট করে একটু বলতে চাই- এখানে বলা হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিষয়টি যেন জনসমক্ষে প্রকাশ না করা হয় এজন্য ইন্টারন্যাশনাল সেন্ট্রাল ফর সেটেলমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্টকে চাপ দিয়েছে সরকার। যেন বেগম জিয়াকে নির্দোষ বলে রায় দেয়া হয়েছে এটা প্রকাশ করা না হয়।  

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এই মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতে যারা বিচারক ছিলেন তারা সবাই বিদেশি। আমাদের সরকারও সেখানে ছিল, তারা অভিযোগ নিয়ে গিয়েছিল। শুনানির শেষে তারা বলেছেন নাইকো সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত এবং বেগম খালেদা জিয়ার এখানে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।  

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ একটি একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত করার সকল আয়োজন করেছে সরকার। এখানে এক ব্যক্তি হয়ে যাচ্ছে, একটি পরিবার হয়ে যাচ্ছে। মোটকথা, দেশে পরিবারতন্ত্র চলছে। এটা আপনারা লক্ষ করলে বুঝতে পারবেন মনোনয়ন কাদের দেয়া হয়। এবং  সংগঠনগুলোর দলীয় প্রধান কাদের বানানো হয়।

টিএস/ এফসি