ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর লালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর হিংস্রতা ততোই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গত ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-৮ এর শূন্য আসনের উপ-নির্বাচনের মতোই ভোটকেন্দ্র দখলের মাধ্যমে নির্লজ্জের মতো সরকারদলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও বিএনপি প্রার্থীর শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি প্রচারণাকে সরকার বরদাশত করছে না। প্রায় প্রতিদিনই মেয়র প্রার্থীসহ কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণায় হামলা করছে সরকারদলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘ঢাকা সিটি দক্ষিণে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর পক্ষে ইসলামপুরে নির্বাচনি প্রচারণার সময় আওয়ামী ছাত্রলীগ-যুবলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হাই, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সোহেল আহমেদ, গজারিয়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি মুশফিকুর রহমান এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন খোকন সহ বেশ কিছু নেতা-কর্মীকে গুরুতর আহত হয়েছেন।’’ 

ছাত্রলীগ-যুবলীগের এই বর্বরোচিত ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বিনা ভোটের সরকার বিরোধী দল ও মতকে পরোয়া করছে না। মানুষের কল্যাণে কাজ না করে ক্ষমতার দাম্ভিকতায় ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে গোটা দেশকে দখলে নিতে চায় তারা। 

তিনি বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নিরবচ্ছিন্নভাবে রাষ্ট্রক্ষমতার স্বাদ পেতে বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্যই বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা অপরাধে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে।

৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভয়-ভীতিমুক্ত করতে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান মির্জা ফখরুল।

টিএস/এসএমএম