• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২০, ০৪:৫৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২২, ২০২০, ০৫:০৪ পিএম

নির্বাচনকালে আমরা কঠোর অবস্থানে থাকবো : সিইসি

নির্বাচনকালে আমরা কঠোর অবস্থানে থাকবো : সিইসি

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকালে নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ২০২০ আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় সিইসি এ কথা বলেন। এজেন্টদের বাড়ি থেকে ভোটকেন্দ্রে আনার দায়িত্ব ইসির নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সিইসি বলেন, দুই সিটির ভোটের দিকে আন্তর্জাতিক মহলের চোখ রয়েছে। নির্বাচনকালে আমরা কঠোর অবস্থানে থাকবো। ভোটের মাঠে কোন ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি ইসি পর্যন্ত যেন না আসে। কোন এজেন্টকে যেন কেন্দ্র থেকে বের করে না দিতে পারে সে দিকে নজর রাখতে হবে। কোন অনিয়ম ঘটলে তড়িৎ ব্যবস্থা নেবেন।

এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার ও কমিশন সচিব মো. আলমগীর, আইজিপি  জাবেদ পাটোয়ারী, র‌্যাব প্রধান বেনজির আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

'বিচ্যুতি হলে কাউকে ছাড়বো না'

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব পালনে কারো কোনো বিচ্যুতি হলে কাউকে ছাড় না দেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এমন নুরুল হুদা। কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

নির্বাচন ভবনে আইন-রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে বুধবার তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

বৈঠকে উপস্থিতি বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানদের উদ্দেশ্য করে সিইসি বলেন, আমি চাই না কোনো অভিযোগ, অনিয়ম, বিচ্যুতি যেন আমাদের পর্যন্ত না আসে। ছোট খাটো কোনো সমস্যা হলে স্ব স্ব বাহিনীর প্রধানদের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করবেন। কোনো বিচ্যুতি হলে কাউকে ছাড়বো না। কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবো।

সিইসি আরও বলেন, কোনো গাফিলতি হলে আপনারা নিজেরাই তা সমাধান করবেন পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব তাদের 
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে। কোনো বিচ্যুতি হলে সমাধান করবেন, যেন ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে, সে অবস্থা সৃষ্টি করতে হবে।

সিইসি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের নিষ্ঠা ও একাগ্রতা রয়েছে। আশাকরি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আপনাদের সহায়তা পাবো। অতীতেও যেমন সহায়তা পেয়েছি। আশা করি এবারও পাবো।

কেএম নূরুল হুদা বলেন, আমাদের কাছে প্রায় অভিযোগ আসে, কেন্দ্রে এজেন্ট নেই। আপনারা নিশ্চয় এজেন্টদের বাড়ি থেকে কেন্দ্রে আনবেনা। কিন্তু কেন্দ্র থেকে কোনো প্রার্থীর কোনো এজেন্টকে যেন কেউ বের করে দিতে না পারে।

নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের ইভিএম অনেক উন্নতমানের। এর মাধ্যমে ভূয়া ভোট দেয়া সম্ভব নয়।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দুই সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

ভোটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় করণীয় নির্ধারনের এ বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত আছেন।

এইচএস/ এমএইচবি