• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২০, ০৬:১৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৩, ২০২০, ০৭:৪৮ পিএম

‘তাবিথের প্রার্থিতা আইনত বাতিল হতে বাধ্য’ 

‘তাবিথের প্রার্থিতা আইনত বাতিল হতে বাধ্য’ 
ইসিতে অভিযোগ জমা দিচ্ছেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক ● সংগৃহীত

বিএনপি সমর্থিত ঢাকা উত্তর সিটির প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রার্থিতা আইনত বাতিল হতে বাধ্য বলে  দাবি করেছেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক।

তাবিথ আউয়ালের বিরুদ্ধে হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ করে তিনি এ দাবি করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর এ অভিযোগ দেন তিনি।

কমিশন সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান মানিক।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানি এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড। এই কোম্পানি তিনজন শেয়ারহোল্ডার আছেন, তাদের একজন তাবিথ আউয়াল। অন্য দুজন তার সহযোগী। তিনজন মিলে এই কোম্পানির সব শেয়ারের মালিক। এই কোম্পানির মূল্য দেখিয়েছেন ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের উপরে। এটা বিশ্বের যে কোনও দেশের টাকার অর্থেই এটা বেশ বড়। এই কোম্পানির কথা তাবিথ আউয়াল তার হলফনামায় উল্লেখ করেননি। আইন হচ্ছে তার ও তার পরিবারের সব সদস্যের সব সম্পদ হলফনামায় দেখাতে হবে। কিন্তু তাবিথ আউয়াল দেখাননি। 

বিএনপি সমর্থিত ঢাকা উত্তর সিটির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ● সংগৃহীত

মানিক বলেন, তার মনোনয়ন আইনত বাতিল হতে বাধ্য। এখন সমস্যা হচ্ছে, সময়টা খুব কম। যদি নির্বাচনে সে জিতে যায়, তাহলে কিন্তু উনি (তাবিথ) টিকতে পারবেন না যদি তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়। কারণ নির্বাচনের পরেই এই প্রশ্ন আসবে, তখন যদি প্রতিষ্ঠিত হয় যে উনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন হফলনামায়, তাহলে উনি আর থাকতে পারবেন না। তার আসন শূন্য হয়ে যাবে। আবার নতুন নির্বাচন হবে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) রিট মামলা করার চিন্তা করছেন বলে জানান সাবেক এই বিচারপতি।

তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে করেছি এটা। আমার বিবেকে লেগেছে। আমি দেশের একজন নাগরিক।

নিশ্চিত হলেন কীভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উনি অস্বীকার করেননি, স্বীকারও করেননি। যে ডকুমেন্টগুলো দিয়েছি, এগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন, এগুলো সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এসেছে। ডকুমেন্ট দেখলেই বোঝা যায়, এটি সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ দিয়েছে। 

মনোনয়ন বাছাইয়ের সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন কমিশনের কিছু করার আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিশন হচ্ছে সর্বোচ্চ। কমিশনকে দিয়েছি, তারা এখন বিবেচনা করবে। সব কাগজপত্রই দিয়েছি। এক্ষেত্রে আইন তো পরিষ্কার, মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার অর্থ উনি নির্বাচনের অযোগ্য। এখন সময় কম। 

তিনি বলেন, আমরা এই ডকুমেন্ট দেখেছি দুই দিন আগে। 

এইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন