• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০১৯, ০৭:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৯, ২০১৯, ০৭:৪৭ পিএম

সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেড় হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেড় হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
গ্রামীণ এলাকায় সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল বসাচ্ছেন একটি পরিবার-ফাইল ছবি

গ্রামীণ এলাকায় নতুন সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এ জন্য সংস্থাটির সঙ্গে একটি চুক্তিও হয়েছে সরকারের। চুক্তির আওতায় বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ১৮ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা) ঋণ ও অনুদান পাবে বাংলাদেশ। এর সঙ্গে যুক্ত আছে স্ট্র্যাটেজিক ক্লাইমেট ফান্ড।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে ওই চুক্তি সই হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানড্যান চেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের এই অর্থায়নের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের জলবায়ু বিনিয়োগ তহবিলগুলোর (সিআইএফস) কৌশলগত জলবায়ু তহবিলের (এসসিএফ) দুই কোটি ৬৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার ঋণ ও ২৮ লাখ ৭ হাজার ডলার অনুদানও রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের ইণ্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ঋণের মেয়াদ ৩০ বছর। এরমধ্যে গ্রেস পিরিয়ড রয়েছে ৫ বছর, শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জসহ এর সুদের হার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। অন্যদিকে এসসিএফ ঋণের মেয়াদ ৪০ বছর। এর গ্রেস পিরিয়ড ১০ বছর, সার্ভিস চার্জ শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের নতুন বাজার সম্প্রসারণে দ্য স্কেলিং আপ রিনিউয়েবল এনার্জি প্রজেক্ট (এসআরইপি), ইউটিলিটি স্কেল সোলার ফটোভোল্টাইক (পিভি) এবং ছাদে বা রুফটপ পিভির প্রতি দৃষ্টি দেবে। এই প্রকল্পে ফেনী জেলায় দেশের প্রথম বৃহৎ পরিসরের ৫০ মেগাওয়াটের গ্রিড-টাইড সোলার পিভি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

-চুক্তি সই অনুষ্ঠান-
নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানড্যান চেন-ছবি : জাগরণ

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ (ইজিজিবি)। দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের অভাব পূরণে প্রকল্পটি রুফটপ এবং ইউটিলিটি-স্কেল ও সোলার পিভি— উভয় ক্ষেত্রেই অর্থায়ন সুবিধা দিতে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডকে (ইডকল) একটি ‘রিনিউয়েবল এনার্জি ফাইন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি’ চালাতে সাহায্য করবে। এটি রিনিউয়েবল এনাজি ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে বড় আকারের প্রকল্পের জন্য স্থান চিহ্নিত করতে এবং রুফটপ পিভির জন্য নতুন মিটারিং নীতি গ্রহণেও উৎসাহিত করবে।

চুক্তির সইয়ের পর মনোয়ার আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এই প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রকল্পটি প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণের কার্বন নিঃসরণ কমাতে সহায়তা করবে, যা প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে কার্বন নিঃসরণ কমাতে বাংলাদেশের নির্ধারিত লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

ড্যানড্যান চেন বলেন, এক দশক ধরে বিশ্বব্যাংক নবায়নযোগ্য শক্তির মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎপ্রাপ্তি বাড়াতে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে। বর্তমানে বাংলাদেশের রয়েছে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কর্মসূচি, যা দেশের প্রায় ১০ শতাংশ মানুষকে সেবা দিচ্ছে। আমরা এখন বাংলাদেশকে বৃহৎ পরিসরে নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদন কার্যক্রমের সম্প্রসারণে বাংলাদেশকে আরেক ধাপ এগিয়ে সহায়তা করতে যাচ্ছি।

এআই/এসএমএম

আরও পড়ুন